নদিয়া: ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম নেই নদিয়া জেলা পরিষদের সহকারি সভাধি প্রতিষ্ঠা সজল বিশ্বাস সহ তার পরিবারের। ইতিমধ্যে এ নিয়ে অভিযোগ দায়ের হয়েছে রানাঘাট মহাকুমার শাসকের কাছে। আর ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় তৃণমূল নেতা তথা নদীয়া জেলা পরিষদের সহকারি সভাধিপতি এই সজল বিশ্বাসের নাম তালিকা না থাকাতে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক।
কিন্তু কেন ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম নেই সজল সহ তার পরিবারের লোকেদের এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সজল বিশ্বাস নিজে জানান, ২০০২ সালে তার বয়স ছিল ১৭ বছর। অর্থাৎ ১৭ বছর বয়সে কারোরই ভোটার তালিকায় নাম ওঠে না। সজল বিশ্বাস কেউ দাবি করেন তিনি স্থানীয় স্কুল এবং কলেজেই পড়াশোনা করেছেন তার প্রমাণও কাছে রয়েছে।
এটা সম্পূর্ণরূপে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে মনে করছেন তিনি। তাহলে কি নদীয়া জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতির গায়ে বাংলাদেশী তকমা লাগাতে চাইছে বিজেপি এমনটাই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও এ বিষয়ে শান্তিপুর ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি চঞ্চল চক্রবর্তী বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
রাজ্যের শাসক দলের একজন নেতা এমনকি পদাধিকারীর যদি এই অবস্থা হয়ে থাকে খুঁজলে আরো অসংখ্য এমন নাম বেরোবে। আর সেই কারণে তৃণমূল কংগ্রেস ভয়ে আন্দোলনে যেতে চাইছে। তৃণমূল কংগ্রেস বুঝতে পেরে গেছে রাজ্যে এস আই আর হলে তাদের কি পরিণতি হতে পারে। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে জেলায় যদি এই ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় তবে তারা বৃহত্তর আন্দোলনে সামিল হবে।
