
কৃষ্ণনগরে বাড়ির মধ্যে ঢুকে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীকে খুন।
নদিয়া: কৃষ্ণনগরে গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন হলো দ্বাদশ বর্ষের এক ছাত্রী। অমৃত ছাত্রীর নাম ইশা মল্লিক (১৯) সোমবার দুপুর ২টো নাগাদ খুব কাছ থেকে মাথায় গুলি করে খুন করা হয় ইশা কে। মৃত ছাত্রীর বাড়ি কৃষ্ণনগরের মানিকপাড়ায়। কৃষ্ণনগর উইমেন্স কলেজের বিপরীতে।ঘটনাস্থল পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে শুরু করে, জেলাশাসকের বাংলো মাত্র সাড়ে ৫০০ মিটার দূরে।
পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার দুপুরে স্নান সেরে ঘরে ছিলেন ইশা। সেই সময় তাঁর মা কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় থেকে তার ভাইকে নিয়ে বাড়ি ফেরেন। দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁরা দেখতে পান, এক যুবক রক্তমাখা ঘর থেকে বেরিয়ে আসছে। ভেতরে মেঝেতে পড়ে রয়েছেন ইশার রক্তাক্ত দেহ। এইরকম অবস্থা দেখে চেঁচামেচি শুরু করে হিসার মা ভাই এবং ঠাকুমা। স্থানীয় লোকজন ছুটে আসে চিৎকার শুনে। দ্রুত খবর দেওয়া হয় কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানায়। কোতোয়ালি থানার পুলিশ এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যা শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে। এখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক নিতে বলে ঘোষণা করে।
পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে দেশরাজ সিংহ নামে এক যুবক। তাঁর বাড়ি উত্তরপ্রদেশে হলেও থাকে উত্তর ২৪ পরগনার কাঁচরাপাড়ায়। তবে ঠিক কী কারণে এই খুন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে পুলিশই তদন্তে উঠে এসেছে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন। ইশার সাথে দেশরাজের বেশ কিছু ছবি রয়েছে যা দেখে মনে করা হচ্ছে ইশার সাথে দেশরাজের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আর প্রেমের সম্পর্কে বাধা প্রাপ্ত হয়েই এই ঘটনা ঘটিয়েছে দেশরাজ।
ইসার সাথে দেশরাজের ছবি দেখেই মা কুসুম মল্লিক চিনতে পারে সেই তার মেয়েকে খুন করে তাদের সামনে দিয়ে পালিয়েছে। ঘটনার পর কোতোয়ালি থানার পুলিশের সাথে সাথে পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। প্রশ্ন উঠেছে— এসপি অফিস, জেলা শাসকের দফতর বাংলো থেকে শুরু করে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক দফতর যেখানে রয়েছে। কীভাবে দিনের আলোয় ঢুকে খুন করে বেরিয়ে যেতে পারল অভিযুক্ত এ নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছে?
ইতিমধ্যেই শার বাড়ির কাছাকাছি সমস্ত জায়গার সিসিটিভি ফুটেছে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার অমরনাথ কে জানিয়েছেন, মানিকপাড়া এলাকায় একটি মেয়েকে ঘরের ভেতর গুলি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ছবি দেখে অভিযুক্তকে চিহ্নিত করা গেছে। তার বাড়ি কাঁচরাপাড়ায়। ছেলেটির বাবা হরিণঘাটা এন ডি আর এফ এ কর্মরত। একই সাথে তারা স্কুলে পড়াশোনা করত। তবে কি কারনে এই খুন তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে এবং দেশরাজের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।