সওনদীয়া নিউজ ২৪ ডিজিটাল: কথায় আছে অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্করী। এই অল্প বিদ্যার কারনেই নিজের প্রাণ খোয়াতে বসেছিলেন উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের এক যুবক। ইউটিউব দেখে সাপ ধরার ‘বাহাদুরি’ দেখাতে গিয়ে বিষধর সাপের কামড় খেলেন সৌরভ পণ্ডিত নামের ওই যুবক। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সৌরভ এখন বিপন্মুক্ত। প্রশিক্ষণ ছাড়া, বন দফতরের অনুমতি না নিয়ে এভাবে সাপ ধরা অনুচিত।
অ্যান্ড্রয়েড ফোন বর্তমান প্রজন্মের কাছে খুবই সাধারণ একটা ব্যাপার৷ আর সেই ফোনের দৌলতে নেট দুনিয়ায় ইউটিউব সহ নানান সাইট এখন হাতের মুঠোয়। ভালো-মন্দ সব কিছুই জানতে, শিখতে পারছে তরুণ প্রজন্ম। তবে সবসময় ইউটিউব বা ইন্টারনেট থেকে শেখা যে কোনো প্রয়োগ বাস্তব জীবনে কাজে লাগানোর ফল ভালো হয় না।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সাপ কী ভাবে ধরতে হয় তা ইউটিউব দেখে শিখেছেন রবীন্দ্রপল্লির যুবক সৌরভ পণ্ডিত। এলাকায় দু-একটি সাপও ধরেছেন তিনি। শুক্রবার বাড়ির অদূরে তাঁর দিদির বাড়িতে একটি বিষধর কালাচ সাপ ঢোকে। খবর পেয়েই সৌরভ বাহাদুরি দেখিয়ে সাপটিকে ধরতে যান। ইউটিউবের প্রশিক্ষণ মত বিষধর সাপটিকে তিনি ধরেও ফেলেন। কিন্তু, জারে ভরার সময়ই ঘটে বিপত্তি! ওই বিষধর সাপের কামড় খেয়েছেন বলে সৌরভের অনুমান।
সৌরভের কথায়,”আমি যখন কোটোতে ঢোকাতে গেলাম, তখন মনে হল সাপটা কামড়েছে। কোথাও দাগটাগ বসেনি, যেহেতু কমন ক্রেট, আমি ইউটিউবে দেখেছি এর কোনও দাগটাগ বসে না। আর অন্য সাপ হলে দাগ বসত। আমি কনফার্ম হতে পারতাম। আমার প্রশিক্ষণ নেওয়া নেই। নিজে থেকেই ইউটিউব দেখে দেখে শেখা।”
বর্তমানে রায়গঞ্জ গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সৌরভ। ছেলে যে কাজটা ঠিক করেননি, তা মেনে নিয়েছেন সৌরভের বাবা নারায়ণ পণ্ডিত। আতঙ্কিত নারায়ণবাবু বলেন, ‘ইউটিউব দেখে সাপ ধরার কৌশল শেখে সৌরভ। কোনও প্রশিক্ষণ ছাড়াই এই কাজ করছে সে। বেশি মাতব্বরি করেছে।’