নদীয়া নিউজ ২৪ ডিজিটাল: দীর্ঘ ১১ মাস পর অবশেষে প্রাথমিকের টেটের ফল ঘোষণা করলো পর্ষদ। টেট পাশ করেছেন ৯ হাজার ৮৯৬ জন। ২০১৭ সালের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ২০২১ সালের ৩১ জানুয়ারি পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। সেই পরীক্ষার ফল ঘোষণার বিজ্ঞপ্তি জারি হল। সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য টেটের ফলাফল প্রকাশের কথা ঘোষণা করেন।
আগেই পর্ষদের ওয়েবসাইটে ‘অ্যানসার কি’ প্রকাশ করা হয়েছিল। চূড়ান্ত ফল প্রকাশের আগে ড্রাফটও প্রকাশ করা হয়। প্রায় ৩ হাজার মতামত জমা পড়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদে। সব মতামত বিশেষজ্ঞদের দ্বারা বিচার করা হয়। এরপরই চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা হল। ছাত্র ছাত্রীদের রোল নম্বর ও জন্মের তারিখ দিয়ে সার্চ করলেই জানা যাবে ফলাফল।
প্রসঙ্গত, প্রাথমিক টেটের এই পরীক্ষা ২০১৭ সালে হওয়ার কথা ছিল।পরীক্ষা দিয়েছিলেন প্রায় আড়াই লক্ষ চাকুরিপ্রার্থী। এর আগে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য জানিয়েছিলেন, “সম্পূর্ণ আইনি জটিলতা এবং ত্রুটিমুক্ত স্বচ্ছ রেজাল্ট বার করার জন্য একটু সময় নিচ্ছি। মূলত, ‘অ্যানসার কি’ অর্থাৎ প্রশ্নের সঠিক উত্তর নিয়ে তৈরি জটিলতা কাটাতেই লাগছে। ফল প্রকাশ করতে কোনও অসুবিধা নেই। ‘অ্যানসার কি’ চূড়ান্ত হয়ে গেলে দ্রুত ফল প্রকাশে কোনও বাধা থাকে না। কিন্তু, ফল প্রকাশের পর জটিলতা তৈরি হলে তা কাটার ক্ষেত্রে অনেক অন্তরায় থাকে। সেটা এড়াতেই আমরা আইনি জটিলতামুক্ত ও ত্রুটিহীন রেজাল্ট দিতে হবে।”
এ বছর পরীক্ষার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছিলেন ২ লক্ষ ৪৫ হাজার ৩৪৪ জন। অনুপস্থিত ছিলেন ৫৫৮১৮ জন। মোট পরীক্ষা দিয়েছেন ১৮৯৫১৪ জন। পরীক্ষা বাতিল হয় ১২ জনের। ৯৮৯৬ জন পাশ করেছেন। পর্ষদ সভাপতি বলেন, “২০২১ সালের জানুয়ারিতে পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। আমরা জানুয়ারির প্রথমদিকেই এ বছর ফল প্রকাশ করলাম। সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে যে টেট পরীক্ষা হয়, কেন্দ্র সরকার যে সি-টেট নেয় তার জন্য পরীক্ষা ফি দিতে হয়। এসসি, এসটিদের ৫০০ টাকা দিতে হয়। আমাদের কিন্তু ১০০ টাকা জেনারেল ক্যাটাগরির জন্য নেওয়া হয়। ৫০ টাকা নেওয়া হয় সংরক্ষিতদের জন্য। ২০১২ সালের পর ২০১৪ সালের টেটে এই ফি-ও মকুব করে দেয় রাজ্য।” দু’টি ওয়েবসাইটে পরীক্ষার্থীরা টেট প্রাথমিকের ফলাফল দেখতে পাবেন।
ওয়েবসাইট দু’টি হল