নদীয়া নিউজ ২৪ ডিজিটাল: ভুয়ো আইপিএস,ডাক্তারের পর এবার খোঁজ মিলল ভুয়ো পুলিশের। পুলিশ সেজে সাদা পোশাকে রাস্তায় তোলাবাজির অভিযোগে গ্রেফতার হল ভুয়ো পুলিশ অফিসার। শিলিগুড়ি ও সিকিমের সংযোগকারী ১০ নং জাতীয় সড়কের ৮ মাইলে গাড়ি দাঁড় করিয়ে নিয়মিতভাবে তোলাবাজি চলতো বলে অভিযোগ।সন্দেহ হয় এক চালকের। অভিযোগ জানানোর পর তদন্তে নামে ভক্তিনগর থানার পুলিশ। জাতীয় সড়ক থেকেই গ্রেপ্তার করা হয় চারজনকে! ধৃত জাল পুলিশ (Fake Police)-এর নাম দিলীপ লোহার, রাজ লোহার, নীতেশ তামাং এবং শিবশঙ্কর মাহাতো। ধৃত চারজনই শিলিগুড়ির বাসিন্দা।
রাতের অন্ধকারে টর্চ মেরে নানা প্রশ্নে চালকদের ফাঁসিতে তাদের থেকে টাকা নিত এই চারজন। কবে থেকে এই কাজ করছে তারা তা এখনও জানা যায়নি। এমনকি এখনও পর্যন্ত ভুয়ো পুলিশ সেজে ঠিক কতো টাকা হাতিয়েছে তাও এখনও জানা যায়নি। অভিযুক্তদের কাছ থেকে একটি বোলেরো গাড়ি উদ্ধার করেছে ভক্তিনগর থানার পুলিশ। তাতে লেখা রয়েছে ‘POLITE’। পুলিশের এর এই বানান ভুল লেখাই তাদের কাল হয়ে দাঁড়ালো। পুলিশ সূত্রে খবর, তাদের কাছে ডাক্তারের স্ট্যাম্প সহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিও ছিল। তদন্তের জন্য ধৃতদের জলপাইগুড়ি আদালতে তুলে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এই চক্রের পেছনে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে ভক্তিনগর থানার পুলিশ।
প্রসঙ্গত , কসবার ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডের পর থেকেই রাজ্যের নানা প্রান্তে বেরিয়ে আসছে ভুয়ো অফিসারদের নাম। নদীয়াতেও পুলিশের জালে ধরা পড়েছিল ভুয়ো সিবিআই অফিসার ও সমাজসেবী রাধারানী বিশ্বাস।