নদীয়া নিউজ ২৪ ডিজিটাল: ভোট পূর্ববর্তী সময়ে রাজ্য সরকার বাংলায় ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি গ্রহণ করেছিল । ২০২১ এর বিধানসভায় তৃতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যে দুয়ারে রেশন প্রকল্পের পর এবার চালু হল ‘দুয়ারে আধার নম্বর’ কর্মসূচী। রেশন গ্রাহকদের জন্যই এই কর্মসূচি গ্রহণ করেছে রাজ্য খাদ্য দফতর। রেশন গ্রাহকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে করা হবে এই কর্মসূচি। ইতিমধ্যেই খাদ্য দফতরের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছে ওয়েবেল টেকনোলজি লিমিটেডের সঙ্গে। আগামী আগস্ট মাসের মধ্যে এই কাজ শেষের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগোনো হচ্ছে বলে খবর। যার ফলে রাজ্যের প্রায় সাড়ে ৫ কোটি রেশন গ্রাহকের আধার সংযুক্তিকরণের কাজ সম্পন্ন হবে। এরপরও যদি কেউ বাকি থেকে যায় তাহলে এলাকা ভিত্তিক শিবির খোলা হবে।
দেশের সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী আগামী আগস্ট মাসে থেকেই রেশন-আধার সংযুক্তিকরণ বাধ্যতামূলক। রাজ্যের খাদ্য দফতর ইতিমধ্যেই রেশন ডিলারদের এই বিষয়টি সম্পর্কে জানিয়েছেন। এই কাজ করতে গেলে গ্রাহকদের পূরণ করতে হবে ১১ নং ফর্ম। আধার সংযুক্তিকরণ হয়ে গেলে, রেশন ডিলারদের কাছে থাকা ই-পস মেশিনে অনলাইন মারফত যুক্ত হয়ে যাবে। যার ফলে খাদ্য দ্রব্য গ্রাহকরা নিলেই সাথে সাথে খাদ্য দফতর জানতে পেরে যাবে ওই গ্রাহকের পরিচয়। যা কেন্দ্রীয় সার্ভারে যুক্ত হয়ে যাবে।
সুপ্রিম কোর্টের এহেন নির্দেশের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুয়ারে দুয়ারে আধার সংযুক্তিকরণ প্রকল্প নিয়ে আসার কথা ভাবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দ্রুত আধার সংযুক্তিকরণ করে রেশন ব্যবস্থা আবারো আগের জায়গায় নিয়ে আসার কথা ভাবছেন। অনেক গ্রাহক এখন নিজেরাই আধার কার্ডের সঙ্গে রেশন কার্ডের নম্বর সংযুক্ত করছেন। ওয়েবেল এজেন্সি বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই আধার নম্বর সংযুক্তিকরণ এর কাজ করবে বলে মনে করা হচ্ছে। ওয়েবেল যদি ঠিকঠাক ভাবে কাজ করে তাহলে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আধার সংযুক্তিকরণ এর কাজ অতি দ্রুত শেষ করা যাবে বলে মনে করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।