নদীয়া নিউজ ২৪ ডিজিটাল: ক্রমশ চিন্তা বাড়াচ্ছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন(Omicron Variant)। জানা যাচ্ছে, নতুন ভ্যারিয়েন্টের স্পাইক প্রোটিনে কমপক্ষে ৩০ থেকে ৫০ বার মিউটেশন হতে পারে। এই ভারিয়েন্ট টিকাকরণে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডির প্রাচীর ভেদ করতে পারবে কি না, তা নিয়েই তৈরি হচ্ছে প্রশ্ন। তারই মধ্যে ওমিক্রন নিয়ে নতুন আতঙ্কের কথা শোনালেন এইমস ( AIIMS) প্রধান রণদীপ গুলেরিয়া।
এইমস প্রধান রণদীপ গুলেরিয়া জানিয়েছেন,”যেহেতু নতুন ভ্যারিয়েন্ট বারবার অভিযোজনের ক্ষমতা রাখে, তাই এর বিরুদ্ধে টিকা কতটা কার্যকরী তা দ্রুত মূল্যয়ন করা প্রয়োজন।” একইসাথে তিনি আরও জানান,”স্পাইক প্রোটিনের উপস্থিতি কোষে ভাইরাসের প্রবেশকে অনের বেশি সহজ করে দেয়। এটিকে সংক্রমণযোগ্য করে তোলে দ্রুত। স্পাইক প্রোটিনের কারণেই সংক্রমণ দ্রুততার সঙ্গে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।”
কী এই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডাব্লিউএইচও(Who) নতুন এই ভ্যারিয়েন্টের নাম দিয়েছে ওমিক্রন। গ্রিক বর্ণমালার আলফা, ডেল্টার মতোই নতুন এই ভ্যারিয়েন্টের কোড-নেম ঠিক করা হয়েছে। এই ভ্যারিয়েন্টটি “অনেক অস্বাভাবিকভাবে মিউটেট” করেছে এবং এখন পর্যন্ত অন্য যেসব ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়েছে তার চেয়ে এটি “অনেকখানিই আলাদা।”
করোনাভাইরাসের উৎপত্তি চীনে বলে অনেকে দাবি করে থাকে। একাধিক দেশের এই দাবি ঘিরে প্রায়ই বিতর্ক দেখা দেয়। শুধু তাই নয়, ওই সময় হু-এর বিরুদ্ধে চীনের প্রতি পক্ষপাতিত্বের অভিযোগও তুলেছেন অনেকে। হয়তো সেই সব বিষয় মাথায় রেখেই ‘জাই’ অক্ষর এড়িয়ে নতুন রূপের নাম হু ‘ওমিক্রন’ রেখেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।