নদীয়া নিউজ ২৪ ডিজিটাল: রাত পোহালেই ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। গতকালই কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছে পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুরে উপনির্বাচন হবে। কিন্তু এর আগেই নিম্নচাপের জেরে বৃষ্টিতে ডুবল ভবানিপুরের ৭৭ নং ওয়ার্ড।

একুশের নির্বাচনে ভবানীপুর কেন্দ্রে জয়লাভ করেছিল তৃনমুল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেরে যাওয়াও তাঁর জন্য বিধায়ক পদ ছাড়েন শোভনদেব।

মাঝে দীর্ঘ সময় চলে গেলেও করোনা অতিমারীর কারনে পুনরায় উপনির্বাচন করানো সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। এদিকে মমতা ব্যানার্জির মুখ্যমন্ত্রীর মেয়াদও প্রায় শেষের পথে। সেই দাবি নিয়েই নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছিল রাজ্যের মুখ্যসচিব।

চিঠিতে মুখ্যসচিব জানিয়েছিল ,রাজ্যের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে। রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি কোনওভাবেই ভোটের কেন্দ্রে প্রভাব ফেলবে না। ভারতীয় সংবিধানের ১৬৪ (৪) ধারায় একজন মন্ত্রী যদি বিধানসভার সদস্য না হন তা হলে ভোটের ফল প্রকাশের ৬ মাসের মধ্যে তাঁর মন্ত্রিত্ব চলে যায়। সেই পদে সর্বোচ্চ পদাধিকারী নিয়োগ না হলে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হতে পারে।’

মুখ্যসচিবের এই চিঠির প্রেক্ষিতেই নির্বাচন কমিশন শুধুমাত্র ভবানীপুরে উপনির্বাচন করানোর নির্দেশ দেয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজের কেন্দ্র ভবানীপুর। এবার সেই কেন্দ্রে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে বিজেপি প্রার্থী দিয়েছে প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালকে, যে কিনা বাবুল সুপ্রিয়র আইনজীবী।

তবে এসবের মাঝে বিরোধী দলগুলির কাছে হাসির খোরাক হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিপিআইএম ও বিজেপির তাবড় তাবড় নেতারা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন ভবানিপুরের জলছবি। যা নিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক।
