নদীয়া নিউজ ২৪ ডিজিটাল: ভবানিপুর উপনির্বাচন নিয়ে দায়ের করা মামলার রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট। যথা সময়েই ভবানিপুরে উপনির্বাচন, নির্বাচন কমিশনকে জরিমানা করে জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। অর্থাৎ, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী ভবানীপুর বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন হবে। তবে মুখ্যসচিব ও নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পর্যবেক্ষণ কড়া মন্তব্য করেছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের বেঞ্চ।
রাজ্যের মোট ৫ কেন্দ্রে উপনির্বাচনের কথা থাকলে তড়িঘড়ি শুধুমাত্র ভবানীপুরেই কেন উপনির্বাচন, এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব। সেই উপনির্বাচন নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাই কোর্টে। জনস্বার্থ মামলাটি (PIL) করেন আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। এ নিয়ে একাধিকবার মামলার শুনানি হয়েছে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে। সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, ভবানীপুরে নির্বাচন এখনই না করানো হলে সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হতে পারে বলে মুখ্যসচিবের সুপারিশের উল্লেখ নির্বাচন কমিশনকে তার প্রেস বিবৃতি থেকে বাদ দিতে হবে। এই মামলার শুনানিপর্বে দেখা যায়, কমিশনের জবাবে কোনও ভাবেই সন্তুষ্ট হয়নি আদালত। শেষ শুনানির দিনও ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল বলেন, ৬ ও ৭ অনুচ্ছেদের ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট নয় আদালত।
উল্লেখ্য, ভবানীপুরের উপনির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের তরফে যে প্রেস বিবৃতি জারি করা হয়, সেখানে (বিবৃতির ছ’ নম্বর অনুচ্ছেদে) উল্লেখ করা হয়েছিল, ‘পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে। একই সঙ্গে তিনি উল্লেখ করেছেন, রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি কোনও ভাবেই ভোটের কেন্দ্রে প্রভাব ফেলবে না। একইসঙ্গে তিনি তুলে ধরেছেন, ভারতীয় সংবিধানের ১৬৪ (৪) ধারায় একজন মন্ত্রী যদি বিধানসভার সদস্য না হন তা হলে ভোটের ফল প্রকাশের ছ’মাসের মধ্যে তাঁর মন্ত্রিত্ব চলে যায়। সেই পদে সর্বোচ্চ পদাধিকারী নিয়োগ না হলে সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হতে পারে।’
তবে এই মামলারই অংশ হিসেবে উপনির্বাচনের খরচ নিয়ে যে শুনানি চলছিল, তা বৃহত্তর স্বার্থে জারি থাকবে বলে এদিন জানায় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।