নদীয়া নিউজ ২৪ ডিজিটাল: সকাল থেকেই রাজ্য রাজনীতিতে ঝড় উঠেছে। সাত সকালে সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী সহ হেভিওয়েট চার রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। নিজের বাড়ি থেকে তাদের তুলে নিয়ে আসা হয়েছে নিজাম প্যালেসে । এরপরে তাদের দিয়ে সই করানো হয়েছে গ্রেফতারি মেমোতে । সেই গ্রেফতারির বিরোধিতা করে সিবিআই-এর দফতরে পৌঁছান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। প্রায় ৩ ঘণ্টা অতিক্রান্ত হওয়ার পরও মমতা নিজাম প্যালেসের সিবিআই দফতরেই বসে।
এদিন নিজাম প্যালেসে গিয়ে কার্যত সিবিআই আধিকারিকদের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘আমাকে গ্রেফতার করুন না হলে নিজাম প্যালেস ছাড়ব না। এই বেআইনি গ্রেফতারি আমি মানি না।’ আর এই ঘটনার জেরেই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার অবনতি হবে, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার কী হবে সেই মর্মে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করলেন দিলীপবাবু।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ এদিন মেদিনীপুরের কোতোয়ালি থানায় এফআইআর দায়ের করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার উস্কানি দিয়েছেন মমতা, এই অভিযোগ এনেই মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর করেছেল দিলীপ ঘোষ।দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, মমতা বলেছিলেন নির্বাচনের পর কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে গেলে খেলা হবে। সেই মন্তব্যের জেরেই রাজ্যে হিংসা ছড়িয়েছিল ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর।
জানা গিয়েছে এফআইআর-এর কপি পাঠানো হয়েছে মেদিনীপুরের ওসি, রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়, রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ডিজিপি, রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরের সচিব, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রধান, জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রধানকে।