ইংরেজিতে এমএ পাশ করেও পেশা তার চুরির,অবশেষে সাঁকরাইল থানার পুলিশের জালে ধরা পড়লো সৌমাল্য

নদীয়া নিউজ ২৪ ডিজিটাল: ইংরেজিতে এমএ পাশ করেও পেশা তার চুরি । বাবা ছিলেন একজন সরকারি চাকরিজিবি । মা ছিলেন শিক্ষিকা। এমনকি নিজেও শিক্ষিত কম ছিলেন না। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে এমএ করেছিলেন ছেলেটি । উচ্চ শিক্ষিত হওয়া সত্বেও চুরিকেই তার পেশা হিসেবে গ্রহণ করায় আত্মহত্যা করেছিলেন তার মা ।তবুও সে নিজের পেশা বদলায়নি । আর তার ফলস্বরূপ পুলিশের জালে ধরা পড়েছে সে। হাওড়া পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে।

একটি চুরির কিনারা করতে গিয়ে বড়সড় সাফল্য পেল হাওড়ার সাঁকরাইল থানার পুলিশ। গ্রেফতার করা হল আসানসোলের বাসিন্দা ওই চুরিচক্রের মূল পান্ডা সৌমাল্য চৌধুরি-সহ মোট তিনজনকে। পুলিশের দাবি, ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় দশ লক্ষ টাকা দামের সোনার গয়না।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সৌমাল্য চৌধুরী ইংরেজিতে এম এ পাস। ২০১৫ তে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ পাশ করেছিল সে।  কিন্তু চুরি করাই তার নেশা।এটাকে পেশা হিসেবেই বেছে নেয় সে। বাড়ি ছেড়ে চুরির চক্র গড়ে তোলে সে।
আসানসোল হাওড়া হুগলী জেলায় কমপক্ষে কুড়িটি চুরির ঘটনায় সে যুক্ত।

অভিযোগ, চলতি মাসের ৯ তারিখ হাওড়ার সাঁকরাইল থানার অন্তর্গত দুইলা এলাকায় একটি ফ্ল্যাট থেকে প্রায় দশ ভরি সোনার গয়না চুরি করে চম্পট দেয় সে। স্কুটি করে পালানোর সময় ফ্ল্যাটের এক আবাসিক স্কুটির নম্বর লিখে নেন। এই নম্বরের সূত্র ধরেই পাঁশকুড়া থেকে গ্রেফতার করা হয় সৌমাল্য চৌধুরি ও তার এক শাগরেদ প্রকাশ শাসমলকে। এরপর পশ্চিম মেদিনীপুর এর দাসপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় মাধব সামন্তকে। হাওড়া সিটি পুলিশের ডি সি সাউথ প্রতীক্ষা ঝাঁকরিয়া জানা,  মাধব সামন্তকে চুরির মাল বিক্রি করেছিল এরা।হাওড়াতে বিভিন্ন এলাকায় নয়টি চুরি করেছে অভিযুক্তরা।এদের আজ হাওড়া আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নেবার আবেদন করেছে পুলিশ।অনুমান বাকি চুরির ঘটনার কিনারা করা যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *