নদীয়া নিউজ ২৪ ডিজিটাল: নারদ মামলায় অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেলেন চার নেতা। শুক্রবার সেই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ। দু’লাখ টাকার ব্যক্তিগত বণ্ডে ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়ের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর হয়েছে। একইসঙ্গে আদালতের নির্দেশ, নারদ মামলা সহ পুরনো কোনও মামলা নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সাক্ষাৎকার দিতে পারবেন না এই চার অভিযুক্ত। কোনও তথ্য প্রমাণও বিকৃত করা যাবে না বলে সতর্ক করেছে আদালত।
হাইকোর্টে আজ খুব কম সময়ের মধ্যেই আজ নারদ মামলা শুনানি শেষ হয়ে যায়। সওয়াল জবাবে আজ কিছুটা চাপেই পড়ে যান সিবিআইয়ের আইনজীবী ও সিলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা । তিনি আদালতে আবেদন করেন, ওই চার নেতাকে জামিন দেবেন না। কারণ তা হলে তাঁরা মামলায় প্রভাব খাটাতে পারেন। কারণ তাঁরা প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব। পাশাপাশি মামলা ঠান্ডা ঘরেও চলে যেতে পারে।
এদিন শুনানির শুরুতেই প্রধান বিচারপতি মন্তব্য করেন, এখন যদি অভিযুক্তদের জামিন দিয়ে মামলার শুনানি হয় তাহলে কি কোনও সমস্যা রয়েছে? ওই প্রশ্নের উত্তরে সিবিআইয়ের আইনজীবী তুষার মেহতা বলেন, জামিনে আপত্তি নেই। তবে সেক্ষেত্রে কিছু শর্ত দিতে হবে। সেগুলি হল অভিযুক্তরা মামলা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে মিডিয়ার মুখোমুখি হতে পারবেন না, কোনও জামায়েতে যেতে পারবেন না। প্রয়োজনের কোর্টের আসতে হবে। সিবিআইয়ের ওই সওয়ালের পরই ৪ নেতাকে জামিনে মুক্তি দেয় হাইকোর্ট।
প্রসঙ্গত, ১৭ তারিখ সকালে রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় সহ তিন নেতাকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে সিবিআই । এরপর নিম্ন আদালতে মামলা উঠলে চার অভিযুক্ত জামিন দেওয়া হলেও ওইদিন রাতেই হাইকোর্টে সিবিআইয়ের পাল্টা মামলায় জামিনে স্থগিতাদেশ দেয় আদালত। এরপরই জামিনের পুনর্বিবেচনার আর্জি নিয়ে হাইকোর্টে দায়ের হয় মামলা। পরে শুনানি চলাকালীন জেল হেফাজতের রায়কে পরিবর্তন করে গৃহবন্দি করে রাখার নির্দেশ দেয় আদালত। এদিন হাইকোর্টের পাঁচ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চে মঞ্জুর চার হেভিওয়েটের শর্তসাপেক্ষে অন্তর্বর্তী জামিন।