নদীয়া নিউজ ২৪ ডিজিটাল: হাসপাতালের নার্সকে শারীরিক হেনস্তা করার অভিযোগ উঠল সাফাইকর্মীর ছেলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণা রোডের ডিগ্রি হাসপাতালে। অভিযুক্ত যুবক নার্সকে সিঁদুর পরিয়ে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। এরপরই হাসপাতালের সুপার বিশ্বনাথ দাসের কাছে গিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দেন হাসপাতালের নার্সরা। অভিযুক্তের নাম পাপন মল্লিক।
নির্যাতিতা নার্সের অভিযোগ, গত ১৬ আগস্ট সকালে তিনি হাসপাতাল থেকে ডিউটি সেরে ফিরছিলেন। তখনই সাফাইকর্মীর ছেলে পাপন মল্লিক তাঁর রাস্তা আটকে দাঁড়ায়। তাঁর সঙ্গে জোর জবরদস্তি করতে থাকে। তিনি বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে আচমকা তাঁর মাথায়, কপালে এবং পোশাকে সিঁদুর ঘষে দেয় পাপন। এরপর চিৎকার করে ওঠেন নির্যাতিতা। ততক্ষণে নার্সের চিৎকারে ঘটনাস্থলে লোকজন চলে আসেন। বিপদ বুঝে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ওই সাফাইকর্মী আদতে খড়গপুর হাসপাতালে কাজ করেন। কিন্তু অনৈতিকভাবে চন্দ্রকোণা রোডের ডিগ্রি হাসপাতালের কোয়ার্টার দখল করে থাকেন।
সেদিনের ঘটনার পরই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও সুপারকে বিষয়টি জানিয়েছিলেন। কিন্তু এতদিন কেটে গেলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। শেষমেশ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষর কাছ থেকে বিচার না পেয়েই পুলিশের দ্বারস্থ হন ডিগ্রি হাসপাতালের নার্স।সকলে মিলে হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখান। সুপার বিশ্বনাথ দাসের কাছে গিয়ে ডেপুটেশন জমা দেন। অভিযুক্তর উপযুক্ত শাস্তির দাবি তোলেন। ডেপুটেশন পাওয়ার পর হাসপাতাল সুপার জানান, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। অভিযুক্ত পাপনের খোঁজ এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। কেন সে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে, সে সম্পর্কেও এখনও পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি।