নদীয়া নিউজ ২৪ ডিজিটাল: বুধবার সকালেই পশ্চিমঙ্গ উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে ‘যশ’ (Yaas)। ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব মোকাবিলা করতে কোমর বাঁধছে রাজ্য প্রশাসন। দফায় দফায় চলছে বৈঠক। এর মাঝে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করল রেলও। মে মাসের ২৫ থেকে ২৭ তারিখ পর্যন্ত ৭৪ &টি ট্রেন বাতিল করল ভারতীয় রেল। বাংলা ও ওড়িশার উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড়। তাই এই দুই রাজ্যের মধ্যে ট্রেন চলাচলে লাগাম পরানো হচ্ছে তিনদিনের জন্য। সেই সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় ৭৪ টি ট্রেন বাতিল করল পূর্ব উপকূলীয় (ইস্ট-কোস্ট) রেল। বাতিল ট্রেনের তালিকায় অবশ্য মধ্য, দক্ষিণ-পূর্ব, দক্ষিণ, উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের একাধিক ট্রেনও আছে ।
.@RailMinIndia
— East Coast Railway (@EastCoastRail) May 22, 2021
Due to Cyclone YAAS, it is decided to cancel various trains orig/destination from/at Bhubaneswar & Puri and trains passing through ECoR in Howrah-Chennai Main Line. These trains are …@DRMKhurdaRoad @DRMWaltairECoR @DRMSambalpur @serailwaykol #YaasCyclone pic.twitter.com/HwNVXkzxiv
আগামী ২৫, ২৬ ও ২৭ মে বাতিল করা হয়েছে ভুবনেশ্বর-হাওয়া , হাওড়া-ভুবনেশ্বর, পুরী হাওড়া, হাওড়া-পুরী স্পেশাল এক্সপ্রেস ট্রেন। ২৫ ও ২৬ মে বাতিল করা হয়েছে হাওড়া-যশবন্তপুর এক্সপ্রেস। ২৪ ও ২৫ মে বাতিল করা হয়েছে যশবন্তপুর-হাওড়া এক্সপ্রেস, গুয়াহাটি-বেঙ্গালুরু এক্সপ্রেস। ২৭ ও ২৮ মে বাতিল থাকছে বেঙ্গালুরু-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস। ২৩ মে বাতিল করা হয়েছে নাগেরকয়েল-শালিমার এক্সপ্রেস। ২৬ মে বাতিল করা হল শালিমার-নাগেরকয়েল এক্সপ্রেস।
উল্লেখ্য, সাধারণ যাত্রীবাহী ট্রেন বন্ধ। তবে দূরপাল্লার ট্রেন চালু রয়েছে। ফলে ঝড় নিয়ে ভাবতেই হচ্ছে রেলকে। শুক্রবার পূর্ব রেলের (Indian Railways) জিএম মনোজ যোশী বিভাগীয় কর্তা ও ডিআরএমদের সঙ্গে এনিয়ে জরুরি বৈঠক করে এ বিষয়ে একাধিক নির্দেশ দেন। তবে রেল হাসপাতালগুলিকে ঝড়ের তাণ্ডব থেকে সুরক্ষিত রাখতে নানা আপৎকালীন ব্যবস্থা তৈরি রাখার পাশাপাশি অ্যাক্সিডেন্ট রিলিফ ট্রেন ও কর্মীদের তৈরি থাকতে বলা হয়েছে। জলের পাম্প থেকে বিকল্প বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, ওষুধের জোগান রাখতে বলা হয়েছে। জল জমে প্রয়োজনীয় সামগ্রী যাতে নষ্ট না হয় সেজন্য তা সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারণ, এই মুহূর্তে প্রতিটি রেল হাসপাতালে কোভিড আক্রান্ত রোগীতে ভরতি। যাদের মধ্যে অনেকেই ক্রিটিক্যাল স্টেজে। ফলে চিকিৎসা বিভ্রাট যাতে না ঘটে সেজন্য কর্মীদের সজাগ থাকতে বলা হয়েছে। কারশেড বা বড় স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেন বাঁধা থাকবে চেন দিয়ে।