নদীয়া নিউজ ২৪ ডিজিটাল: সাহিত্য জগতে ইন্ড্রপতন। প্রয়াত হলেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহ। রবিবার রাত ১১ টা ২৫ নাগাদ শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। হাসপাতাল সূত্রে খবর, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
চলতি বছরের এপ্রিল মাসে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন বুদ্ধদেব বাবু। সেই সময় শহরের একটি হোটেলে নিভৃতবাসে থাকার পর, তাঁকে হাসপাতালেও ভর্তি হতে হয়। বেশ কয়েকবার বুদ্ধদেববাবুর মৃত্যুর গুজবও রটে যায়। কিন্তু সমস্ত জল্পনাকে উড়িয়ে দিয়ে ৩৩ দিন কঠিন লড়াইয়ের পর করোনামুক্ত হয়ে বাড়ি ফেরেন বুদ্ধদেব। কিন্তু আগস্টের প্রথমে আবার শারীরিক অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি হন এই সাহিত্যিক।
হাসপাতালে সূত্রে জানা যায় শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা হয়েছে তাঁর। মুত্রথলীতেও দেখা গিয়েছে সংক্রমণ। অবস্থার অবনতি ঘটতেই তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় আইসিইউতে। চার চিকিৎসকের এক দল দেখছিলেন তাঁকে। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। তবে এ বার আর হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরা হল না তাঁর।
১৯৩৬ সালের ২৯ শে জুন কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন বুদ্ধদেববাবু। পেশাগত জীবন শুরু চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট হিসেবে। পশ্চিমবঙ্গের আয়কর বিভাগের উপদেষ্টা বোর্ডের সদস্য হিসেবেও কাজ করেছেন। আকাশবাণী কলকাতার অডিশন বোর্ডের সদস্যও ছিলেন তিনি। বহু কালজয়ী উপন্যাসের স্রষ্টা তিনি। তাঁর উল্লেখযোগ্য বইগুলি হল ‘বাবলি’, ‘মাধুকরী’, ‘কোজাগর’, ‘হলুদ বসন্ত’, ‘একটু উষ্ণতার জন্য’,’কুমুদিনী’, খেলা যখন, ঋজুদা , জঙ্গলমহল, চানঘরে গান প্রভৃতি । হলুদ বসন্ত উপন্যাসের জন্য ১৯৭৬ সালে পান আনন্দ পুরস্কার। তাঁর মৃত্যুতে সাহিত্য মহলে শোকের ছায়া নেমেছে।