সাধারণত্ব দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে টেক্কা দেওয়া কঠিন,ছাতা হাতে মোদির পরে সাংবাদিক সম্মেলনে মমতা

নদীয়া নিউজ ২৪ ডিজিটাল: বৃষ্টির মধ্যে ছাতা হাতে সাংবাদিক বৈঠক করছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সপ্তাহ খানেক আগেই এই ছবি ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। দেহরক্ষী থেকে শুরু করে অন্য কাউকেই প্রধানমন্ত্রীর ছাতা ধরতে দেখা যায়নি। বিজেপির সমস্ত স্তরের নেতারা সেই ছবি পোস্ট করতে শুরু করেন৷ তাঁদের বক্তব্য ছিল, ছাতা ধরার জন্য কারও সাহায্য দরকার পড়ে না। প্রধানমন্ত্রী নিজেই নিজের ছাতা ধরতে পারেন। এবার সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখা গেল মঙ্গলবার। মোদির মতো বৃষ্টির মধ্যে ছাতা হাতে সাংবাদিক বৈঠক করতে দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

এদিন বিকেল চারটেয় নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আধঘণ্টা বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেরিয়ে এসে দিল্লির সাংবাদিকদের মন জয় করে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী। নিরাপত্তারক্ষী থাকতেও নিজের ছাতা নিজেই ধরলেন। নিতান্তই সাধারণের ব্যবহার্য ছাতাটি, মালিন্য নেই, তবে জাঁকজমও নেই।সাংবাদিকদেরও বললেন, “বৃষ্টিতে ভিজলে জ্বর আসবে। আপনারা ছাতা নিয়ে নিন।” সৌজন্য বলতে এইটুকুই, দিল্লি বিকল্প নিয়ে চর্চা  শুরু করে দিল।

এদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পরে মমতা বলেন, বাংলা অন্যান্য রাজ্য থেকে কম ভ্যাকসিন পাচ্ছে। বাংলার করোনা চিত্র অনেকটা উন্নত হয়েছে। কিন্তু তৃতীয় ঢেউ আসার আগেই আমি সবার টিকাকরণ সম্পূর্ণ রাখতে চাই। বাংলার নাম পরিবর্তন করা নিয়েও কথা হয়েছে। এটা অনেকদিন ধরে আটকে আছে। দয়া করে বিষয়টি দেখতে বলেছি। প্রধানমন্ত্রী জানান, বিষয়টি দেখা হবে।

তৃণমূল রাজ্য সম্পাদক কুনাল ঘোষ ঘটনাটি দেখেছেন টিভি খুলেই। উচ্ছ্বসিত হয়ে বলে ফেললেন, “এটা ট্রেলার। ২০২৪-এ গোটা  দেশের মাথায় ছাতা ধরবেন তিনি।” কুনাল ঘোষের কথায়, “বিজেপির কোনও কাজ নেই। সব জিনিস কপি করে। স্কিম কপি করে। অথচ দেখুন স্কিমগুলির জন্য বাংলা কিন্তু প্রথম পুরষ্কার পায়। আজ নিজেই নিজের ছাতা নিয়ে মমতা বন্দোপাধ্যায় দাঁড়িয়েছেন। বন্যায় এগিয়ে যেতে যেতেন। আসলে শুধু ট্যুইট মালব্য আর ডিজিটাল মার্কেটিং দিয়ে হয় না। ভাইরাল করে সবটা হয় না। হেলিকপ্টার থেকে বন্যা দেখা আর পা ভেজানো জলে এক জিনিস নয়।”

উল্লেখ্য, বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের পরে এই প্রথম দিল্লি সফরে আসেন মমতা। বিধানসভা নির্বাচনের পরে মমতার এই সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এখন রাজ্যের সীমানা ছাড়িয়ে জাতীয় স্তরে নিজেদের সংগঠন বাড়াতে মরিয়া ঘাসফুল শিবির। ২১শে জুলাইয়ের ভাষণ এই প্রথম একাধিক রাজ্যে শোনানোর ব্যবস্থা হয়েছিল। ফলে লোকসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে নিজেদের ক্রমশ শক্তিশালী করছে তৃণমূল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *