নদীয়া নিউজ ২৪ ডিজিটাল: প্রত্যাশা ছিল,হলোও তাই। ভবানীপুর কেন্দ্রে ৫৮ হাজারের বেশি ভোটে জয় পেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২১-এর বিধানসভা ভোটে ভবানীপুরের তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের দ্বিগুণ ব্যবধানে জয় পেলেন তিনি।
রবিবার হাইভোল্টেজ ভবানীপুর উপ নির্বাচনের ফলাফলের দিকে তাকিয়ে ছিল গোটা দেশ। ফলাফল ঘোষণা হতেই এদিন বাঁধনহারা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। অতীতের প্রায় সমস্ত রেকর্ড ভেঙে এদিন ৫৮ হাজার ৮৩২ ব্যবধানে নিকটতম BJP প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়ালকে পরাজিত করেন তিনি। যা তাঁর ২০১১-র ব্যবধানকেও ছাপিয়ে গেল।
আজ সকালে শাখাওয়াত মেমোরিয়াল স্কুলে পোস্টাল ব্যালট গণনার পর ইভিএম গণনার শুরু থেকেই এগিয়ে যান মমতা। মোট ২১ রাউন্ড গণনার প্রতিটি ধাপেই লিড বাড়িয়ে নেন তিনি। ভোটের ট্রেন্ডে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়ের আভাস পাওয়ার পরই, কালীঘাটে শুরু হয়ে যায় আবির খেলা। নাচে, গানে, শাঁখ বাজিয়ে, জয়ের সেলিব্রেশন করেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। ভবানীপুরের যদুবাবুর বাজারে উৎসবে সামিল হন মদন মিত্রও। তিনি বিজেপি-কে কটাক্ষ করে বলেন, ‘ভবানীপুর টু কামারহাটি, ওয়েস্টবেঙ্গল টু দেশের মাটি। লক্ষ্য এবার দিল্লির মাটি। মমতা যাবে, মোদির নাক কেটে দিয়ে যাবে।’
ভবানীপুরে এবার প্রার্থী দেয়নি কংগ্রেস। লড়াই ছিল ত্রিমুখী। বিধানসভা ভোটের তুলনায়, উপনির্বাচনে বাড়ল তৃণমূলের জয়ের ব্যবধান। বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জিতেছিলেন ২৮ হাজার ৯১৭ ভোটে। আর, উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিতলেন ৫৮ হাজারেরও বেশি ভোটে। কমেছে বিজেপির প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যাও।