নদীয়া নিউজ ২৪ ডিজিটাল: ভবানীপুরেও হারবেন তৃণমূল নেত্রী। ভবানীপুর কেন্দ্রে উপনির্বাচনে মনোনয়ন পত্র দাখিল করার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে নিশানা করলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর কটাক্ষ, ‘সারাজীবন মমতাকে নন্দীগ্রামের হারের যন্ত্রণা বইতে হবে।’
শনিবার তমলুকের নিমতৌড়িতে এক রক্তদান শিবিরে যোগ দিতে এসে শুভেন্দুর বক্তব্য, “নন্দীগ্রামে ছুটে চলে এসেছিলেন ভোটে দাঁড়াতে, কয়েকজনের কথা শুনে হেরেছেন। আমাকে সহ্য করতে পারে না। প্রচণ্ড যন্ত্রণা…যতদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাঁচবেন কানের কাছে সব সময় এই যন্ত্রণাই থাকবে যে শুভেন্দুর কাছে হেরেছি। এ যন্ত্রণা আপনাকে পিছু ছাড়বে না।”
গত বুধবার ভবানীপুরে উপ-নির্বাচনের জন্য চেতলায় তৃণমূলের কর্মিসভা থেকে নাম না করে শুভেন্দু নিশানা করেছিলেন মমতা। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইডির তলব নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়ানোর ফাঁকেই মমতা দাবি করেন, খুনের মামলায় তথ্য থাকলেও এফআইআর দায়ের করা যাচ্ছে না। মমতার কথায়, ‘আমাদের লোকেরা আপনাদের কাছে সাক্ষী দিতে যাবেন। জেরা করবেন ১০ ঘণ্টা। কিন্তু আমাদের এজেন্সি যদি আপনাদের কাউকে ডাকে, তথ্য থাকা সত্ত্বেও, মার্ডার কেস থাকা সত্ত্বেও তখন আপনি তার অর্ডার করিয়ে নিয়ে বলবেন যে এফআইআরও করা যাবে না। ভগবানের জ্যেষ্ঠপুত্র?’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি নিশানা করে শুভেন্দু বলেন, একজন তৃণমূল প্রার্থী যিনি ১ লাখ বিজেপি কর্মীকে ঘরছাড়া করেছেন। আর অন্য বিজেপি প্রার্থী মাঠ ঘাটে ঘুরে বেড়িয়েছেন। ঘরছাড়াদের ঘরে ঢুকিয়েছেন। অত্যাচারিত মানুষদের পাশে থেকেছেন। ভবানীপুরের লড়াই কার্যত ভোট পরবর্তী অশান্তির বিরুদ্ধে লড়াই। এই লড়াই অভিজিত্ সরকারের মায়ের চোখের জলের লড়াই। মানুষকে ঠিক করতে হবে, ভবানীপুরের মানুষ লক্ষাধিক মানুষকে ঘরছাড়া করা, নারীদের সম্ভ্রম লুঠ করা তৃণমূলের পাশে থাকবে নাকি অভিজিত্ সরকারের মতো মানুষদের পাশে থাকবে।