নদীয়া নিউজ ২৪ ডিজিটাল: ইসকনের প্রতিষ্ঠাতা শ্রীলা ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদের ১২৫ বছর বার্ষিকী উপলক্ষ্যে এদিন ১২৫ টাকার বিশেষ স্মারক কয়েন প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বুধবার ইসকনের একটি সভায় বৈঠকে নরেন্দ্র মোদী এই বিশেষ কয়েন উদ্বোধনের সঙ্গেই একাধিক বক্তব্য পেশ করেন। এদিনের অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র মোদী বলেন, শ্রীলা প্রভুপাদের জন্মের সঙ্গে শ্রীকৃষ্ণ জন্মাষ্টমীর পর পর দিনের যে যোগ রয়েছে তা অভূতপূর্ব। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে শ্রীলা প্রভুপাদের অবদানকে স্মরণ করে এদিন মোদী প্রভুপাদের জীবনে স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে ডিগ্রি প্রত্যাখ্যানের ঘটনাকেও তুলে ধরেন।

মোদী এদিনের সভায় বলেন, ভারত জ্ঞানের দিক থেকে বিশ্বকে কতটা সমৃদ্ধ করতে পারে, তার খতিয়ান দিয়েছে ভারতের যোগভ্যাস। যেভাবে বিশ্বের দরবারে ভারতের যোগভ্যাস ছড়িয়ে পড়েছে, তা প্রশংসনীয় বলে বর্ণনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এর সঙ্গে ভারতের জীবনযাত্রা ও আয়ুর্বেদের প্রভাব নিয়ে বহু প্রশংসাধর্মী বক্তব্য তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী। মোদী বলেন, আয়ুর্বেদের থেকেও দেশের পাশাপাশি বিশ্বের বহু ক্ষেত্র বিভিন্নভাবে লাভ পেতে পারে। আর তাই হচ্ছে। গোটা বিশ্ব এর লাভ পাচ্ছে।মোদী এদিন নিজের ভাষণে বলেন, আমরা যেখানেই যাই বিশ্বে, সেখানেই কেউ আমাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হলে বলেন ‘হরে কৃষ্ণ।’ আর এই ‘হরে কৃষ্ণ’ বোল থেকেই একটি একাত্মতার অনুভূতি খুঁজে পাওয়া যায়। মোদী বলেন, এই একাত্মতার বোধ খুঁজে পাওয়া যায়, যখন গোটা বিশ্বে ভারতের তৈরি বিভিন্ন পন্য বিক্রি হয়। আর সেই পন্যের মধ্যেই প্রবাসী ও ভারতে বসবাসকারীরা নিজেদের মধ্যে একাত্মতা বধ গড়ে তোলেন। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যদি দেশের ভক্তি আন্দোলন না থাকত, তাহলে দেশ কোনদিকে যেত, তা বলা কঠিন।
এদিন ভক্তি আন্দোলন প্রসঙ্গে বাংলার মণীষী চৈতন্য মহাপ্রভুর বিষয়ে প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন মোদী। তিনি বলেন ভক্তি আন্দোলনের তাৎপর্যের একটি দিক ফুটে উঠেছিল চৈতন্য মহাপ্রভুর হাত ধরে। মোদী বলেন, আমাদের সমাজে আধ্যাত্মের হাত ধরে একাত্মবোধকে ফুটিয়ে তুলে ছিলেন চৈতন্য মহাপ্রভু। আত্মবিশ্বাস নিয়ে ধর্মীয় আস্থার রাস্তা মহাপ্রভু দেখিয়ে ছিলেন বলে এদিন বলেন মোদী। এদিন বিশ্বের বিভিন্নস্থানে ছড়িয়ে থাকা ইসকনের মন্দিরগুলির মাধ্যমে ভারতের সংস্কৃতির ছড়িয়ে পড়ছে বলে মন্তব্য করে , এই প্রতিষ্ঠানের কর্মকাণ্ডের ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি।