ফের একবার নদিয়ার শান্তিপুরে চায়না ঘুড়ির সুতোয় গুরুতর জখম হল এক কলেজ ছাত্রী

নদীয়া: চায়না ঘুড়ির সুতোয় একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে নদিয়ার শান্তিপুরে। দিনকয়েক আগেই এক শিশু সহ অন্য এক যুবকের গলা কাটে রাস্তায় ঝুলতে থাকা চায়না ঘুড়ির সুতোয়। শেষমেশ অতিষ্ঠ হয়ে এলাকার লোকজন শান্তিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ জানায়। এর পরই নাইলনের এই চায়না সুতো বিক্রিকারী কিছু ব্যাবসায়ীকে আটক করে শান্তিপুর থানার পুলিশ। তবু যেন কোথায় একটা খামতি থেকে যাচ্ছে প্রশাসনের।

সোমবার শান্তিপুরে সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। আবারো চায়না ঘুড়ির সুতোয় গুরুতর জখম হল এক কলেজ ছাত্রী। সুতোয় বেঁধে কেটে গেল গলার অনেকটা অংশ। অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা। সূত্রের খবর এদিন শান্তিপুর বড়বাজার এলাকায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে সাইকেল চালিয়ে সঙ্গীতা হালদার নামে ওই যুবতী বাড়ি ফিরছিল ঠিক তখনই তার গলায় চায়না ঘুড়ির সুতো বেধে যায়। এরপরে ওই যুবতী চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করলে স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর যুবতীকে বাড়ি পাঠানো হয়েছে।

পরিবার এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি এই প্রথম নয় এর আগেও চায়না লাইলনের সুতো দিয়ে ঘুড়ি ওড়ানোর কারণে একাধিক মানুষ গুরুতর জখম হয়েছেন। অল্পের জন্য সকলেই প্রাণে বেঁচে গেলেও প্রাণ নাশের আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছে তারা। এর আগেও শান্তিপুরের একাধিক সামাজিক সংগঠন চায়না সুতো ব্যবহারের প্রতিবাদে শান্তিপুর থানায় লিখিত ডেপুটেশন জমা দিয়েছেন।

প্রশাসনের গাফিলতির অভিযোগ তুলে এদিন ক্ষোভ উগড়ে দেন এলাকাবাসীরা। তাদের অভিযোগ পুলিশ কোনো কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়ার কারণে এখনো রমরমিয়ে চলছে এই চায়না লাইলনের সুতো দিয়ে ঘুড়ি ওড়ানো। যার ফলে রাস্তায় বের হতে রীতিমতো ভয় পাচ্ছেন শান্তিপুর বাসীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *