নদীয়া নিউজ ২৪ ডিজিটাল: ১৮৪১৯ আপ পুরি- জয়নগর এক্সপ্রেসে করে প্রায় চার মাস পর ওড়িশার কটক থেকে বিহারের সমস্তিপুরে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী পিংকি (২০) কে নিয়ে নিজের বাড়ি ফিরছিলেন সুরজ কুমার। তবে বালাসোর স্টেশান পেরোনোর পরেই প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয় পিংকির। রাত আটটা নাগাদ D4 কামরার বাথরুমের সামনেই পুত্রসন্তান জন্ম দেন পিংকি। চলন্ত ট্রেনে প্রসবের খবর পৌঁছায় মেদিনীপুর রেল স্টেশনে আরপিএফ কর্মীদের কাছে। খবর পেয়েই মেদিনীপুর স্টেশনে ছুটে আসেন রেল পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তারা। নিয়ে আসা হয় অভিজ্ঞ ডাক্তার থেকে রেলের স্বাস্থ্যকর্মীদের। তৈরি রাখা হয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি গাড়িও। রাত ১০.২২ মিনিটে মেদিনীপুর স্টেশনে এসে পৌঁছায় জয়নগর এক্সপ্রেস। এরপর নবজাতক ও প্রসূতিকে ট্রেন থেকে নামাতে গেলেই বাঁধে বিপত্তি। অচেনা জায়গায় কোনোভাবেই স্ত্রীকে নিয়ে ট্রেন থেকে নামতে রাজি হয় নি সুরেশ । দীর্ঘ প্রায় ৪০ মিনিট তাঁকে বোঝানোর পর কোনোভাবে ট্রেন থেকে প্রসূতি ও তাঁর পুত্র সন্তানকে নামিয়ে ভর্তি করা হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।

উল্লেখ্য, পেশায় ফুচকা ব্যবসায়ী সুরজ কুমার দীর্ঘদিন ধরেই ওড়িশার কটকের বাসিন্দা।প্রতি তিন মাস অন্তরই সমস্তিপুরে নিজের বাড়ি যান সুরজ। তবে স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা থাকার কারণেই এবার প্রায় চার মাস পর নিজের বাড়ি যাচ্ছিলেন সুরজ। দূরপাল্লার রেলসফরে বাবা হওয়ার এই রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার সাক্ষী হতে হবে তা হয়তো ভাবতেও পারেননি বছর ২৬ য়ের এই যুবক। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মাতৃ মা ভবনের গেটে দাঁড়িয়ে তার একটাই দাবি, স্ত্রী ও তাঁর সদ্যোজাত পুত্রসন্তানকে নিয়ে নির্বিঘ্নে বাড়ি পৌঁছানোর ব্যবস্থা যেন করে রেল। নবজাতক সহ দম্পতিকে সুস্থভাবে বাড়ি পৌঁছানোর আশ্বাসও দিয়েছেন রেল কর্তারা।