নদীয়া নিউজ ২৪ ডিজিটাল: গুঞ্জন ছড়িয়েছিল আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপের পর ভারতীয় দলের সীমিত ওভারের ক্রিকেট থেকে অধিনায়কত্ব ছাড়ছেন বিরাট কোহলি। যদিও বিসিসিআই জানিয়েছে খবরটি ভুয়ো। এরই মাঝে ফের একবার গুঞ্জন শুরু হয়, টি-২০ বিশ্বকাপের পর কোচের পদেও রদবদল দেখবে ভারতের ক্রিকেট। বিশ্বকাপের পর হেড কোচ রবি শাস্ত্রীসহ অন্তত তিনজন কোচ বোর্ডের চাকরি ছেড়ে দেবেন। অর্থাৎ তারা আর জাতীয় দলের সঙ্গে থাকবেন না। সূত্রের খবর, বোর্ডকে নিজের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন বিরাটদের বর্তমান কোচ।
হেড কোচ রবি শাস্ত্রী সহ বোলিং কোচ ভারত অরুণ এবং ফিল্ডিং কোচ শ্রিধর বিরাটও নিজেদের চাকরি ছেড়ে দেবেন। তবে ব্যাটিং কোচ বিক্রম রাঠোর স্বপদে বহাল থাকবেন বলে জানাচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। এক্ষেত্রে ভারতীয় বোর্ড জানিয়েছে , রবি শাস্ত্রীর জায়গায় কোনো ভারতীয়কেই রাখতে চায় বোর্ড।
আগামী ডিসেম্বরে ভারতীয় দলের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর দিয়ে দায়িত্বগ্রহণ করবেন নতুন হেড কোচ ও তার সহকারীরা। যার মানে দাঁড়ায়, বিশ্বকাপের পরপরই ঘরের নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে নতুন কোচ পাবে না ভারত। এ সিরিজের জন্য শাস্ত্রীকে দায়িত্ব পালনে অনুরোধ করবে বিসিসিআই।
এখন প্রশ্ন জাগছে, কে হবে ভারতীয় দলের কোচ? সূত্রে খবর,ইতিমধ্যেই কোচ নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে বোর্ডে। কর্তারা চাইছেন রবি শাস্ত্রী দায়িত্ব ছাড়ার পর তাঁর জায়গায় ফের কোনও ভারতীয়কেই প্রাধান্য দিতে। তাই প্রাক্তন ভারতীয় কোনও ক্রিকেটারকেই শাস্ত্রীর হটসিটে বসানোর ভাবনাচিন্তা বোর্ডের।
এক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কা সফরে ভারতীয় দল নিয়ে যাওয়া রাহুল দ্রাবিড়ের নাম আলোচনায় আসলেও রাহুল নিজে নাকি জানিয়ে দিয়েছেন তিনি এখনই টিম ইন্ডিয়ার কোচ হতে চান না। ২০১৭ সালে রবি শাস্ত্রীর সঙ্গে কোচ হিসেবে আবেদন করেছিলেন প্রাক্তন তারকা বীরেন্দ্র সেহওয়াগ। এবার দেখার তিনি ফের আবেদন করেন কিনা। তবে এই মুহূর্তে সবচেয়ে চর্চিত নাম মহেন্দ্র সিং ধোনি।

আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টিম ইন্ডিয়ার মেন্টর হিসেবে ধোনিকে নিযুক্ত করেছে বিসিসিআই। বিশ্বকাপের পর ধোনির ভূমিকা কী হবে তা এখনও চূড়ান্ত নয়। তবে বোর্ডের একাংশের দাবি, ধোনি যদি চলতি আইপিএল খেলার পর অবসর ঘোষণা করে দেন সে ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে টিম ইন্ডিয়ার হট সিটে দেখা যেতে পারে বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ককে। তবে এই সম্ভাবনা কতটা জোরালো তা এখনই বলা সম্ভব নয়।
তবে মহেন্দ্র সিং ধোনি যে ভারতীয় দলে কোচ হওয়ার যোগ্য তা নিয়ে ইতিমধ্যেই দাবি তুলেছেন তাঁর ছোটবেলার কোচ কেশব বন্দোপাধ্যায়। ধোনির ঘনিষ্ঠ মহলেরও দাবি, যদি বিরাটদের কোচ হিসেবে নিযুক্ত হন ক্যাপ্টেন কুল তাহলে সেখানে তিনি সফল হবেন। তবে শেষ পর্যন্ত কী সিদ্ধান্ত নেয় বোর্ড, তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে মাসখানেক।
উল্লেখ্য, ২০১৭ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রথম দফায় ভারতের প্রধান কোচের দায়িত্ব সামলান শাস্ত্রী। পরবর্তীতে ২০১৯ সালের আগস্টে আবারও দুই বছরের চুক্তি করেন। সেই চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমানে হতে যাওয়া বিশ্বকাপ শেষে।