নদীয়া নিউজ ২৪ ডিজিটাল: দীর্ঘ ২০ বছর পর আফগানিস্তানের আকাশে ফের তালিবানদের পতাকা উড়ছে। আতঙ্ক, ভয়, কান্না, হাহাকার, মৃত্যু খবরে শিউরে উঠছে বিশ্ব। দেশ ছাড়ার হিড়িকে পরিণতি হচ্ছে মর্মান্তিক। তালিবানি আতঙ্কে নিজের ছোট্ট শিশুদের বাঁচাতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে প্রত্যেক আফগানি। তালিবানের দেশ না ছেড়ে দেশে থেকে কাজ চালিয়ে যাওয়ার কথা বললেও ,ভয় পাচ্ছেন প্রত্যেকেই। আসলে দেশ ছেড়ে সবাই চলে গেলে তাদেরই বা চলবে কি করে! এমতাবস্থায় ছোট্ট একটি শিশুর ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা দেখে আঁতকে উঠেছিল গোটা বিশ্ব।
The chaos & fear of people is a testament to the international community’s role in AFG’s downfall & their subsequent abandonment of Afghan people. The future for AFG has bn decided for its people without its people’s vote & now they live at the mercy of a terrorist group. #Kabul pic.twitter.com/k4bevc2eHE
— Omar Haidari (@OmarHaidari1) August 19, 2021
ভিডিওও দেখা গিয়েছিল,’ভিড়ের মধ্যে দেখা গিয়েছিল এক বাবা কাঁটাতার পার করে তাঁর দুধের শিশুকে তুলে দিচ্ছে ইউএস আর্মির হাতে। এই ছবি দেখে গোটা সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে প্রতিবাদ হয়েছিল। ওই ছোট্ট শিশু কি আর ফিরতে পারবে তার বাবা-মায়ের কাছে? ভেবেই কান্নায় ভেঙে পড়েছেন অনেকে। কি হবে এমন হাজার হাজার শিশুর !
The baby in this photo has been reunited with its father, per Marine Corps spox Maj. Jim Stenger.
— Geoff Bennett (@GeoffRBennett) August 20, 2021
"I can confirm the baby was reunited with their father and is safe at the airport. This is a true example of the professionalism of the Marines on site …" https://t.co/EhCvHXT9MF
তবে সেই দুঃস্বপ্নের মুহূর্ত কাটিয়ে সুসময় ফিরল। মার্কিন সেনার সহায়তায় ওই শিশু সুস্থ হয়ে বাবার কাছে ফিরেছে। তবে কতদিন সে রক্তাক্ত আফগানভূমে (Afghanistan) সুরক্ষিত থাকবে, সেই প্রশ্ন উঠলেও আপাতত এই মিলন কাহিনি যেন ঘোর আঁধারের মাঝে একচিলতে আলো।
https://www.facebook.com/trtworld/videos/998603767658479/
ইউএস সেনার মেজর জিম স্টেনজার জানিয়েছেন, “বাচ্চাটি অসুস্থ ছিল। তাই তাঁর বাবা আর্জি জানায় যদি একটু চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যায় ! তখনই আর্মির হাতে তুলে দেয় শিশুটিকে। এর পর চিকিৎসা ও যত্ন নেওয়া হয় শিশুটির। এবং শিশুটি একটু সুস্থ বোধ করলে, তাকে ফের তার বাবা মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এবং তারা সকলেই ঠিক আছেন। আফগানিস্তান ছেড়ে বেরিয়ে যেতেও পেরেছেন।” এই খবর জানার পর থেকে স্বস্তি নেমেছে গোটা বিশ্বে।