নদীয়া নিউন ২৪ ডিজিটাল: তৃনমুল থেকে বহিষ্কৃত হবার ১৩৫৫ দিন পর বিজেপি ছেড়ে আবার তৃণমূলে ফিরলেন মুকুল রায় । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃনমুল ভবনে সপুত্র মুকুল রায় ফিরলেন তৃণমূলে । যে মানুষটি দল তৈরির শরিক ছিলেন, এতদিন পর সেই দলে ফিরে দৃশ্যতই মুখে হাসি মুকুল রায়ের । একইসঙ্গে মুকুলের ফেরাতে মমতা বলেন,’ঘরের ছেলে ঘরে ফিরল’। শুক্রবার তৃণমূল ভবনে দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান করলেন তিনি । তাঁদের উত্তরীয় পরিয়ে স্বাগত জানালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ।
তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, মুকুলের সঙ্গে যাঁরা দল ছেড়েছিলেন, তাঁরা ফিরতে চাইলে দল সিদ্ধান্ত নেবে। তবে নির্বাচনের আগে যাঁরা গদ্দারি করেছে, সেই চরমপন্থীদের দলে ফেরানো হবে না। একইসঙ্গে মুকুল রায় কেন বিজেপি ছাড়লেন, কেন তৃণমূলে যোগ দিলেন এসব প্রশ্ন সাংবাদিকদের করতে বারণ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘তৃণমূল সবার দল। মুকুলকে আমরা গ্রহণ করেছি। সেটাই ফাইনাল। এনিয়ে আর কোনও প্রশ্নের উত্তর দেব না।
এদিকে তৃণমূলে যোগদানের পর মুকুল রায় বললেন, ”বিজেপি থেকে বেরিয়ে খুব ভাল লাগছে। নতুন আঙিনায় এসেছি, পুরনো সহকর্মীদের সঙ্গে দেখা হচ্ছে, কথা হচ্ছে। আর এটা ভেবে ভাল লাগছে, বাংলা আবার তার নিজের জায়গায় ফিরবে। সামনে থেকে নেতৃত্ব দেবেন মমতা।”
মুকুলের তৃণমূলে ফেরার জল্পনায় প্রথম আভাস দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। নন্দীগ্রামে শেষবেলার প্রচারে প্রাক্তন সৈনিক মুকুল রায়ের রীতিমতো প্রশংসা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে মুকুল রায়ের তুলনা টেনে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেছিলেন, ‘মুকুল শুভেন্দুর মতো এত খারাপ নয়।’ এতেই শেষ নয়, মুকুল রায়কে কৃষ্ণনগর উত্তরে বিজেপির টিকিট দেওয়া নিয়েও মুখ খুলেছিলেন মমতা। তিনি বলেছিলেন, ‘মুকুল বেচারা থাকে কাঁচরাপাড়ায়। ব্যারাকপুর, জগদ্দল, ভাটপাড়া, এসব এলাকায় না দিয়ে ওকে পাঠিয়েছে কৃষ্ণনগরে।’
প্রসঙ্গত, মুকুলের সঙ্গে দিলীপের প্রথম থেকেই বনিবনা হয়নি বলে খবর। শেষমেশ বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক চুকিয়ে ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরই আস্থা রাখলেন মুকুল।