নদীয়া নিউজ ২৪ ডিজিটাল: ত্রিপুরায় বিপ্লব দেবের পুলিশের হাতে ‘বন্দি’ আইপ্যাকের ২২ থেকে ২৩ জন কর্মী। রবিবার রাতে ত্রিপুরার যে হোটেলে থেকে আইপাকের কর্মীরা কাজ করছিল,সেই হোটেলে হানা দেয় ত্রিপুরা পশ্চিমের পুলিশ। রবিবার রাত থেকে এখনও পর্যন্ত বন্দি অবস্থাতেই আছে আইপাকের কর্মীরা। এবার আইপ্যাকের সদস্যদের বন্দি রাখা নিয়ে গর্জে উঠলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য মানিক সরকার। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুরেই বর্ষীয়ান এই নেতা বলেছেন,”সরকার ভয় পেয়েছে।”
মঙ্গলবার ত্রিপুরা সিপিএমের সদর দফতরে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন মানিক সরকার। সেখানেই কেন্দ্র সরকারকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন তিনি। এদিন সাংবাদিক বৈঠক থেকে মানিকবাবু বলেন,”এটা কি ধরনের সরকার! একটা দল সমীক্ষা করতে এসেছে। তারা আসতেই পারে। এটা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। তাই বলে তাদের আটকে রাখা হবে?”এতেই থেকে থাকেননি তিনি, আরও বলেন,”আসলে সরকার ভয় পাচ্ছে। ভয়েই এইসব কাজ করছে। সরকার ভয় পাচ্ছে কারণ জনগণ তাদের পাশে থেকে সরে যাচ্ছে।”
এদিকে আইপ্যাকের কর্মীদের উদ্ধার করতে দলের তিন নেতাকে ত্রিপুরা পাঠাচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার সকালেই আগরতলার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা দলের তিন নেতা ব্রাত্য বসু, মলয় ঘটক এবং ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সূত্রে খবর, বুধবার সকাল ৯টা ২০ মিনিট নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দর থেকে রওনা দেবেন তাঁরা। আগরতলা পৌঁছে ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাকের ২৩ জন কর্মীকে মুক্ত করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা তাঁদের।
একুশের নির্বাচনে বাংলায় প্রচারে এসেছিলেন ত্রিপুরার বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার। সিপিএমই ত্রিপুরার বিরোধী দল। বর্ধমানের একটি সভা থেকে মানিক বাবু বলেছিলেন, ত্রিপুরায় গিয়ে দেখে আসুন কি অবস্থা হয়েছে। যে কোনও মানুষকে জিজ্ঞেস করুন কেমন আছেন? একবাক্যে উত্তর পাবেন ,সব শেষ করে দিয়েছে। মানিক সরকারের এই কথা পরবর্তী কিছু সভাতে মুখ্যমন্ত্রীর মুখেও শোনা গিয়েছিল। এবার সেই মানিকবাবুই সরব হলেন বিপ্লব সরকারের বিরুদ্ধে।