নদীয়া নিউজ ২৪ ডিজিটাল: প্রায় ২০ মাস বন্ধ স্কুল, কলেজ। পঠান-পাঠন চলছে অনলাইনে। প্রবল সমস্যায় পড়ুয়ারা। এই পরিস্থিতিতে দ্বিতীয় ডেউয়ের পরই সংক্রমণ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসতেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন যে, পুজোর পর স্কুল খোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। স্কুল ভবনগুলি মেরামতির জন্য অর্থ বরাদ্দও করেছিল রাজ্য সরকার। আর কিছুদিনের মধ্যেই শারদীয়ার ছুটি শেষ হবে। তার আগেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন রাজ্যের স্কুল, কলেজ কবে থেকে খুলবে।
সোমবার শিলিগুড়ির উত্তরকন্যা-য় আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সেখানেই তিনি ঘোষণা করেন, কালীপুজো, ছটপুজো মিটলেই আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে রাজ্যে খুলে দেওয়া হবে স্কুল। এর জন্য প্রশাসন ও স্কুল কর্তৃপক্ষকে প্রস্তুতি নিতে হবে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীর ব্যবস্থা নিতে মুখ্যচসিবকে নির্দেশ দেন মমতা।
এদিন মুখ্যসচিবকে উদ্দেশ্য করে মুখ্যমন্ত্রী বললেন, “১৫ তারিখ থেকে স্কুল-কলেজ খোলা হোক। তার আগে দু’সপ্তাহের মধ্যেই স্যানিটাইজেশনের কাজ শেষ করতে হবে।” অর্থাৎ পুজোর মরশুম শেষ হতেই ফের স্কুল-কলেজমুখো হবে পড়ুয়ারা। তবে নিয়মিত ক্লাস করানো হবে কি না। করোনা পরিস্থিতিতে প্রতি ক্লাসে কতজন পড়ুয়া থাকবেন, এ বিষয়ে এখনও কোনও তথ্য মেলেনি।
উল্লেখ্য, গত বছর ১৬ মার্চ থেকে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। মুখ্যমন্ত্রী প্রাথমিক ভাবে ৩১ মার্চ পর্যন্ত স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু তার পর করোনা সংক্রমণ নতুন করে বৃদ্ধি পাওয়ায় আর স্কুল-কলেজ খোলা হয়নি। তার পর করোনা সংক্রমণ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসায় ২০ মাস পর স্কুল খোলার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।