রানাঘাট,নদীয়া: বাড়িতে প্রবীণরা কি ব্রাত্য? কেন তাঁদের ঠাঁই মেলে না ঘরে? অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, তাঁরা অত্যাচারিত, বঞ্চিত! অবশ্য অনেক বাড়িতেই সসম্মানে তাঁরা আছেন ঘর আলো করে। কারণ বয়স্কদের অভিজ্ঞতায় ঋদ্ধ হয় একটা পরিবার।
কিন্তু নদিয়ার রানাঘাটের শ্যামনগর এলাকায় ঘটল চাঞ্চল্যকর একটি ঘটনা। অভিযোগ নিজের নামে বসত বাড়ি লিখে দেওয়ার চাপ দিয়ে বৃদ্ধা ঠাকুমাকে মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিল নাতি। এমনকি প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও কোনো সুরাহা মেলেনি বলে জানিয়েছে ওই বৃদ্ধা।

স্থানীয়সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বৃদ্ধার স্বামী মারা গেছে প্রায় ১০ বছর। তারপর থেকেই ঠাকুমার উপর অত্যাচার করে অভিযুক্ত নাতি এবং নাতবৌ। ঠাকুমার অভিযোগ, তাঁকে মারধর করে নাতি ও নাতবৌ। নাতির নামে বাড়ি লিখে দেওয়ার জন্য চাপ দেয় তারা। বাড়ির নাতির নামে না লিখিয়ে দেওয়াতে অসহায় বৃদ্ধাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়,নাতি নাতবৌ। বর্তমানে তিনি তার মেয়ের বাড়িতে রয়েছেন। অতঃপর ওই বৃদ্ধাকে বৃদ্ধাশ্রমে দিয়ে আসবে বলে ঠিক করেছে মেয়ে-জামাই। অভিযোগ, ঠাকুমার বার্ধক্যভাতার টাকা থেকে শুরু করে রেশনসামগ্রীও নিয়ে নেয় ওই নাতি।
এখন বৃদ্ধার একটাই আর্জি, যেভাবে হোক তাঁর বাড়িতে যেন তাঁকে ফিরিয়ে দেবার ব্যবস্থা করে সরকার।