নদীয়া নিউজ ২৪ ডিজিটাল: আর মাত্র কয়েক ঘন্টার অপেক্ষা। রবিবার সুপার সানডেতে সবার নজর নয়ডার টুইন টাওয়ারের দিকে। কুতুব মিনারের থেকেও উঁচু এই টুইন টাওয়ার। আজ অর্থাৎ রবিবার বেলা আড়াইটে নাগাদ ধূলিসাৎ হয়ে যাবে নয়ডার সেক্টর 93A-র বিতর্কিত ৪০ তলা টুইন টাওয়ার। মাত্র ৮-৯ সেকেন্ডে ভেঙে পড়বে পুরো বিল্ডিংটি। নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আশেপাশের আবাসনের বাসিন্দাদের।
বিশালাকার এই অবৈধ নির্মাণটি আজ দুপুর আড়াইটেয় ভেঙে ফেলা হবে। ৯,৬৪০টি গর্ত খনন করে ৩৭০০ কেজি গানপাউডার এই টাওয়ারগুলিতে ভরাট করা হয়েছে, যা ৯ সেকেন্ডের মধ্যে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেবে। সেক্টর ১২৮-এর জেপি হাসপাতালে ১২ টি আইসিইউ এবং ৮ টি জরুরি শয্যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
জোড়া এই টাওয়ার ভাঙতে খরচ হবে ২০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৫ কোটি টাকা দেবে নির্মাণকারী সংস্থা, বাকি ১৫ কোটি টাকা ধ্বংসাবশেষ বিক্রি করে তোলা হবে বলে জানা গিয়েছে। ১০০ মিটার উচ্চতার এই বিল্ডিং ভেঙে ফেলার পরই কাজ শেষ হবে না। এরপর ১ হাজারেরও বেশি ট্রাক তিন মাস ধরে ধ্বংসাবশেষ সরানো হবে। টুইন টাওয়ার সংলগ্ন ৬টি সমিতির বাসিন্দাদের ছাদে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। নয়ডা পুলিশ নিরাপত্তার কারণে ২৬শে অগাস্ট থেকে ৩১শে অগাস্ট পর্যন্ত শহরের আকাশে ড্রোন ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। বিস্ফোরণের উপরে এক নটিক্যাল মাইল ব্যাসার্ধের বায়ু স্থান ধ্বংসের সময় ফ্লাইটের জন্য সংক্ষিপ্তভাবে অনুপলব্ধ থাকবে।
উল্লেখ্য ২০০০ সালের মাঝামাঝি এই টাওয়ার তৈরির কাজ শুরু হয়। নয়ডা ও গ্রেটার নয়ডা যাওয়ার রাস্তার সংযোগস্থলে এই টাওয়ার গড়ে ওঠে। এখানকার ফ্ল্যাটের দাম ছিল বর্তমানে ১ কোটি থেকে ৩ কোটি পর্যন্ত। ১৪টি ৯ তলা টাওয়ার তৈরির কথা ছিল প্রথমে।
কিন্তু ২০১২ সালের পরে সব বদলে গেল। ৯ তলার জায়গায় ১১ তলা ১৫টি বিল্ডিং হওয়া শুরু হয়। তারপর শুরু হয় ৪০ তলা দুটি টাওয়ার। প্রথমে বলা হয়েছিল সবুজ এলাকা থাকবে ফ্ল্যাটের সামনে। আর সেই সবুজ ধ্বংস করেই উঠল গগনচুম্বী টাওয়ার। এলাহাবাদ হাইকোর্ট ওই টাওয়ার ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিল। পরে সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যায় সুপারটেক। সুপ্রিম কোর্ট সেই নির্দেশ বহাল রাখে। অবশেষে ২৮ অগস্ট ভাঙা হবে এই জোড়া টাওয়ার। ৩৭০০ কেজি বিস্ফোরক ব্যবহার করা হবে। মুম্বইয়ের একটি কোম্পানি এই কাজ করবে।