নদীয়া নিউজ ২৪ ডিজিটাল: করোনার আবহে টিকাকরণের ক্ষেত্রে অসাধু মানুষও সুযোগ নিচ্ছেন ,তারই প্রমাণ মিলল খোদ কলকাতায়। টিকাকরণ কেন্দ্র ,তাও আবার ভুয়ো! হতবাক হচ্ছেন নিশ্চই! তবে এটাই সত্যি। কলকাতা পুরসভার অনুমতি ছাড়াই তৈরি হয়েছিল ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্প। বেআইনিভাবে চলছিল টিকাকরণ কর্মসূচি। কসবা পুলিশের জালে ভুয়ো IAS অফিসার দেবাঞ্জন দেব। জাল পরিচয় পত্র সহ একটি গাড়িও আটক করেছে পুলিশ। যা নিয়ে রীতিমতো অস্বস্তিতে কলকাতা পুরসভা। এদিকে, ওই কেন্দ্র থেকেই ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন অভিনেত্রী সাংসদ মিমি চক্রবর্তী।খবর প্রকাশ্যে আসতেই উদ্বেগে ভুগছেন তিনি।
ঘটনার সূত্রপাত মিমির ভ্যাকসিন নেওয়ার পর থেকেই। সাংসদ অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী জানিয়েছেন,” টিকাকরনে উৎসাহ দেওয়ার জন্য তাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল উদ্যোক্তারা। তাতে রাজি হন মিমি। শুধু তাই নয়, টিকা নেওয়া যে নিরাপদ তা দেখাতে ওই ক্যাম্প থেকেই টিকা নেন মিমি। তারপর সেখান থেকে ফিরে যান তিনি। পরে সার্টিফিকেট না আসায় ওই উদ্যোক্তাদের কাছে তিনি কারণ জানতে চান। উত্তরে উদ্যোক্তারা বলেন বাড়ি পৌঁছনোর আগেই তিনি সার্টিফিকেট পেয়ে যাবেন। কিন্তু বাড়ি ফেরার পরেও যখন তিনি সার্টিফিকেট না পান, তখন তার অফিস স্টাফদের ওই টিকাকরণ ক্যাম্পে পাঠান তিনি। মিমির মনে সন্দেহ বাধে তখন,যখন উদ্যোক্তারা মিমির স্টাফদের জানান,সার্টিফিকেট আসতে ৩-৪ দিন সময় লাগবে।
সাংসদ অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী খোঁজ নিয়ে দেখেন, “এই ক্যাম্প থেকে মোট ৩ হাজার মানুষকে টিকা দেওয়ার কথা ছিল। এখনও পর্যন্ত ২০০ জনকে টিক দেওয়ার কাজ শেষ হয়েছে। যার মধ্যে ছিলেন তিনিও । পাশাপাশি এই ভুয়ো ক্যাম্প থেকেই টিকা নিয়েছিলেন একাধিক বিশেষভাবে সক্ষম মানুষরাও। টিকা নিয়েছিলেন রূপান্তরকামীরাও। কিন্তু উদ্বেগজনক ভাবে এই ক্যাম্পে টিকা নিতে আসা কোনও ব্যাক্তির রেজিস্ট্রেশন এবং সার্টিফিকেটের কোনো মেসেজ আসেনি। অতঃপর ওই ক্যাম্পের টিকাকরণ বন্ধ করে দেন মিমি। ফোন করেন পুলিশকে। পুলিশ এসে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে।
অনুমোদন ছাড়াই কলকাতার বুকে ভুয়ো ভ্যাকসিন সেন্টার কীভাবে চলছিল তা নিয়ে রীতিমতো চর্চা শুরু হয়েছে। গোটা ঘটনায় ধৃত দেবাঞ্জনের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত রয়েছেন কিনা, তার খোঁজ শুরু করেছেন পুলিশ কর্তারা। নিজেকে তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার অফিসার বলেও দাবি করেছিলেন দেবাঞ্জন। নীল বাতি লাগানো গাড়ি কিংবা কলকাতা পুরসভার কমিশনারের সই করা আই কার্ডও কীভাবে তাঁর কাছে এসে পৌঁছল, তাও জানার চেষ্টা চলছে। মঙ্গলবার ওই শিবির থেকে যাঁরা ভ্যাকসিন নিয়েছেন, তাঁরা কীভাবে নাম নথিভুক্ত করেছেন, সেটাও ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের।