
উওর ২৪ পরগনা: সীমান্তের কাঁটা তারের বেড়াজালে আইনি জটিলতায় আটকে যুবক ফিরতে চায় নিজের দেশ বাংলাদেশে।উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগর থানার বিথারী হাকিমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে তারালি হাকিমপুর এলাকায় ঘোরাঘুরি করছিল মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক মমিনুর রহমান। তার বাড়ি বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি পাইথালী গ্রামে। বাবা গাউস মোড়ল মা মর্জিনা বিবি। ২০১৭ সালে বয়স যখন ১২ মানসিকভাবে অক্ষম ছিল সে।
অজান্তে বাংলাদেশ সীমান্ত কাঁটাতার পেরিয়ে ভারতে ঢুকে পড়েছিল। বাংলাদেশে তার বাবা মা আশাশুনি থানায় নিখোঁজের ডাইরিও করে। স্বরূপনগরের তারালি হাকিমপুর এলাকায় ঘোরাঘুরি করে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা তার দেখভাল করেন। বর্তমান সেই বাংলাদেশী যুবকের বয়স ২০ বছর। এলাকার এক যুবক তার জীবন কাহিনী নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোষ্ট করে।তখনই ভিনদেশে তার বাবা ও মায়ের কাছে খবর পৌছায়। ছেলেকে দেখে চিনতে পারে মা ও বাবা।
সোশ্যাল মিডিয়াতেই কমেন্ট করেন বাবা। উপযুক্ত নথিপত্র ইতিমধ্যে দেখায় তারা। জানতে পারে তাদের এই হারানো ছেলে মমিনুর। ইতিমধ্যে ঘটনাটি স্বরূপনগর থানায় জানান এবং ১৪৩ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের সীমান্ত বাহিনীর কাছে তারা উপযুক্ত নথিপত্র দিয়ে বলেন ১২ বছর বয়সে কিশোর সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢোকে। এবং হারানো ছেলের সঙ্গে বাবা-মা ভিডিও কলে কথা বলেন এবং কান্নায় ভেঙে পড়েন।
এই দৃশ্য একবার মনে করিয়ে দিল বজরঙ্গ ভাইজানের ছবি। হারানো ছেলেকে ফিরে পেতে ইতিমধ্যে সীমান্ত দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কাজে উপযুক্ত নথিপত্র পাঠিয়েছে বাবা-মা সেই নিয়ে প্রশাসনিক তৎপরতা বেড়েছে। মমিনুর বাবা-মার সাথে কথা বলার পর সে দেশে ফিরতে চায় ।