নদিয়ার কালীনারায়ণপুরে অ্যাম্বুলেন্স চালককে বলপূর্বক আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ উঠল তৃণমূল প্রধান এবং তার স্বামীর বিরুদ্ধে

শান্তিপুর,নদীয়া: টাকার চাপ দিয়ে এক অ্যাম্বুলেন্স চালক কে বলপূর্বক আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে উঠলো তৃণমূল প্রধান এবং তার স্বামীর বিরুদ্ধে। সুইসাইড নোট দেখে পরিবারের তরফ থেকে তৃণমূল প্রধান এবং তার স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের। ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার তাহেরপুর থানার কালীনারায়নপুর পাহাড় পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কালীনারায়নপুর পাহাড় পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কামগাছি এলাকার বাসিন্দা উত্তম বিশ্বাস (৫০)। দীর্ঘ আট বছর ধরে কালীনারায়নপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি অ্যাম্বুলেন্স চালাতেন তিনি। সাংসদের প্রদান করা অ্যাম্বুলেন্স চালিয়ে যা কমিশন পেত তা দিয়ে কোনরকমে সংসার চলত তার।

পরিবারের অভিযোগ বেশ কয়েক মাস ধরে তার কমিশন দেওয়া বন্ধ করে দেয় পঞ্চায়েত এর পক্ষ থেকে। উপরন্ত উল্টে টাকা চেয়ে বিভিন্ন সময়ে চাপ দেওয়া হতো তাকে।  পরিবারের এমনটাই অভিযোগ প্রধান দিপা দাস এবং তার স্বামী তৃণমূল কংগ্রেস নেতা জানোকি দাসের বিরুদ্ধে।

সেই টাকার চাপে পড়ে গত ৭ তারিখ মঙ্গলবার নিজের বাড়িতে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করেন। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা। মৃত উত্তম ঘোষ মারা যাওয়ার আগে একটি সুইসাইড নোটে তৃণমূল প্রধান এবং তার স্বামীর বিরুদ্ধে তার মৃত্যুর জন্য দায়ী বলে দাবি করেন। এরপরই পরিবারের তরফ থেকে ওই প্রধান এবং তার স্বামীর বিরুদ্ধে তাহেরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।

যদিও সুইসাইড নোট এবং মৃতের পরিবারের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই প্রধান এবং তার স্বামী। তারা দাবি করেন এই ঘটনার পিছনে তারা কোন ভাবে জড়িত নয়। ওই আমনের শালুকের পারিবারিক সমস্যা ছিল এবং তার অবৈধ সম্পর্কের জেরে এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে দাবি তাদের। যদিও অভিযোগের ভিত্তিতে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে তাহেরপুর থানার পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *