নদীয়া নিউজ ২৪ ডিজিটাল: নারদ মামলায় রাজ্যের চার হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীকে গ্রেফতার করে সিবিআই । কলকাতা হাইকোর্ট ধৃতদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় । জেলে যাওয়ার পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন শোভন চট্টোপাধ্যায় ,মদন মিত্র ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তাঁদের SSKM-এর উডবার্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসা চলছিল। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রের ভোকাল কর্ডে একটি টিউমার ধরা পড়েছে। এই টিউমারটি কতটা মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে মদন মিত্রের জন্য, তা জানতে আরও বেশকিছু পরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে ।আপাতত মদন মিত্রকে হাসপাতালে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
চিকিৎসক অরুণাভ সেনগুপ্ত বলেন, “মদন মিত্রের লেফ্ট কর্ডে ছোট্ট একটি ভোকাল অ্যাঞ্জিওমা পাওয়া গিয়েছে। ওনাকে গলার উপর বেশি জোর না দিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ওনার স্পিচ থেরাপি করতে হবে। মাঝে মাঝে দেখতে হবে ওটা কমলো কিনা।“ বিষয়টি ভয়ানক না হলেও এখনই সারিয়ে নেওয়া উচিত বলে মত চিকিৎসকদের। তাঁদের অনুমান, ভোটের প্রচারে গলার উপর অত্যাধিক চাপ পড়ার কারণেই এমনটা হয়েছে।
গত ১৭ মে নারদ মামলায় চার্জশিট পেশের দিনে ৪ নেতা-মন্ত্রীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে গ্রেপ্তার করে CBI। নিম্ন আদালতে প্রত্যেকে জামিন পেলেও, হাইকোর্টে তা স্থগিত হয়ে যায়। যত দিন না পর্যন্ত কলকাতা হাইকোর্টের পাঁচ সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চ নির্দেশ দিচ্ছে, তত দিন ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে তাঁদের গৃহবন্দি থাকতে হবে। এদিন সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিট নাগাদ প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে পুলিশের গাড়ি করেই চেতলায় বাড়ি ফেরেন ফিরহাদ হাকিম। কিন্তু বাকি তিন অভিযুক্ত শারীরিক কারণে হাসপাতালেই থেকে যান।