নদীয়া নিউজ ২৪ ডিজিটাল: আবৃত্তি জগতে ফের শোকের ছায়া। বৃহস্পতিবার সকালেই দুঃসংবাদে ভাসল সংস্কৃতি জগৎ। বেশ কিছুদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত কারণে ভুগছিলেন বাচিক শিল্পী গৌরী ঘোষ। বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে গত সাতদিন ধরে ভেন্টিলেশন সাপোর্টে ছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার সকাল ৮.৫৫ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।
বুধবার করোনা কেড়ে নিয়েছিল তবলাবাদক শুভঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়কে, সেই ধাক্কা সামলে উঠবার আগেই আজ সকালে প্রয়াত হলেন গৌরী ঘোষ। বিখ্যাত বাচিক শিল্পীর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পরিবার সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরে স্নায়ুর সমস্যায় ভুগছিলেন গৌরীদেবী। দিনকয়েক আগে শারীরিক অসুস্থতা গুরুতর আকার নেয়। তাঁকে বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলছিল। সাতদিন ধরে ভেন্টিলেশনে ছিলেন তিনি। অতঃপর সকলকে কাঁদিয়ে পরলোকে পাড়ি দিলেন তিনি।
বাচিক শিল্পী ব্রততী বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, গৌরী ঘোষ ছিলেন তাঁর মায়ের মতো। ‘মনে হচ্ছে দ্বিতীয়বার মাতৃহারা হলাম। পরিবারে মা চলে গেলে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়, এখনও তেমনটাই মনে হচ্ছে।’
আবৃত্তি জগতের উজ্জ্ব দুই নক্ষত্র গৌরী ঘোষ এবং পার্থ ঘোষ। বাস্তবে তাঁরা স্বামী-স্ত্রী। রেডিওতে উপস্থাপক হিসাবে তাঁদের কেরিয়ার জগতের শুরু। বহু বছর আকাশবানীর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।তিন দশক ধরে আকাশবানীর বহু অনুষ্ঠানে তাঁকে শুনতে পাওয়া গেছে। স্বামী পার্থ ঘোষের সঙ্গে মিলে বহু শ্রুতি নাটক করেছেন। বহু জনপ্রিয় শো-এর উপস্থাপনা করতে দেখা গেছে তাঁদের। তাঁদের যৌথভাবে করা শ্রুতি নাটক ‘কর্ণকুন্তি সংবাদ’ খুব জনপ্রিয় হয়েছিল।রেডিওর পাশাপাশি অনেক অনুষ্ঠানে একসঙ্গে কবিতা পাঠ করেছেন এই জুটি। একাধিক সিডিও ক্যাসেটও রয়েছে তাঁদের। এই জুটির জনপ্রিয়তা ছিল আকাশছোঁয়া। গৌরী ঘোষের মৃত্যুতে শোকের ছায়া সংস্কৃতি মহলে।