নদীয়া নিউজ ২৪ ডিজিটাল: বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিনেই জল্পনা শুরু হল রাজ্যের সাত কেন্দ্রের উপনির্বাচন নিয়ে। নবান্নে সূত্রে খবর রাজ্যের সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রে শীঘ্রই হতে চলেছে উপনির্বাচন। রাজ্যে বর্তমান পরিস্থিতিতে উপনির্বাচন করানো যাবে কী না,তা নিয়ে রাজ্যকে প্রশ্ন করেছিল দিল্লি নির্বাচন কমিশন। প্রশ্নের জবাবে রাজ্য প্রশাসন জানিয়েছে,”প্রতিদিন রাজ্যের করোনা (Coronavirus) পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। সাবধানতা অবলম্বন করে, কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে ছন্দে ফিরছে জনজীবন। ফলে এই মুহূর্তে রাজ্যে উপনির্বাচন করার পরিবেশ ফিরে এসেছে। নির্বাচন কমিশনের চিঠির জবাবে এও জানানো হয়েছে যে বাংলায় যে ৭ টি আসনের উপনির্বাচন বাকি রয়েছে, তাও হতে পারে এই মুহূর্তে।
বিধানসভার ২৯৪ টি আসনের মধ্যে ২৯২ টির ফলপ্রকাশ করা হয়েছিল। নির্বাচনের আগেই দুই প্রার্থীর মৃত্যুর জন্য সামশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুর আসনে ভোট হয়নি। এদিকে নির্বাচনের ফলপ্রকাশের আগেই মৃত্যু হয় খড়দহের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর। ফলপ্রকাশের পর বিজেপি বিধায়ক পদ ছাড়েন নিশীথ প্রামাণিক এবং জগন্নাথ সরকার। এমনকী মমতা ব্যানার্জির জন্য ভবানীপুর আসনটি ছেড়ে দেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। সুতরাং সবমিলিয়ে ৭টি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। এছাড়া রাজ্যসভার দুই আসনেও ফের ভোট করাতে হবে। দুই সাংসদ – মানস ভুঁইঞা এবং দীনেশ ত্রিবেদীর আসন ফাঁকা। প্রথমজন বিধানসভা ভোটে লড়াই করে এখন রাজ্যের মন্ত্রী। রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। অপরজন, দীনেশ ত্রিবেদী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় তাঁর আসনটি শূন্য।
উল্লেখ্য গত ২৩ জুন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন,’অনেকগুলি কেন্দ্রে বাকি উপনির্বাচন। আমরা চাইব উপনির্বাচন জলদি হয়ে যাক। প্রচারের সময় দেওয়া হোক ৭ দিন। সকাল ১০ থেকে ৭টা পর্যন্ত প্রচারের সময় দিলেই হবে।’ এদিকে করোনা আবহে উপনির্বাচন বিজেপি চায় না বলে মন্তব্য করেছিলেন সায়ন্তন বসু। যদিও রাজ্য বিজেপির কর্মসমিতির বৈঠকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ উপনির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। সবমিলিয়ে এখন নির্বাচন কী সিদ্ধান্ত নেয় তাই দেখার।