ঠিক কারা পাবেন লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের আর্থিক সহায়তা? নয়া নির্দেশিকা জারি করলো নারী ও শিশু কল্যাণ দফতর

নদীয়া নিউজ ২৪ ডিজিটাল: ভোট প্রচারে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি গুলির মধ্যে একটি ছিল রাজ্যের সমস্ত সাধারণ ঘরের মহিলাদের মাসিক ৫০০ ও তফসিলি জাতি বা উপজাতি ঘরের মহিলাদের মাসিক ১০০০ টাকা করে আর্থিক সাহায্য করবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ভোটে জেতার পর সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করার লক্ষ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন মহিলাদের জন্য “লক্ষ্মীর ভাণ্ডার” এর মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে ঠিক কারা,কিভাবে পাবেন এই ‘লক্ষীর ভান্ডার’ প্রকল্পের আর্থিক সহায়তা? লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে এবার নির্দেশিকা জারি করল রাজ্যের শিশু সুরক্ষা ও পরিবার কল্যাণ দফতর।

নির্দেশিকায় বলা হয়েছে,”শহর ও গ্রামাঞ্চলে স্বাস্থ্যসাথী স্কিমে যারা ইতিমধ্যেই নথিভূক্ত রয়েছেন সেই সমস্ত মহিলারাই লক্ষীর ভান্ডার এর সুবিধা পাবেন। রাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে আবেদনকারীকে। তার বয়স ২৫ থেকে ৬০ এর মধ্যে হতে হবে।

নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে,” আবেদনকারী যদি সরকারি কর্মচারী বা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী, কোনও স্বশাসিত সংস্থা, সরকারি নিয়ন্ত্রিত কোনও সংস্থা, পঞ্চায়েত, মিউনিসিপালিটি, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী, সরকারি স্কুল গুলির ক্ষেত্রে বা যদি কেউ নিয়মিত বেতন বা পেনশন পান তাঁরা এই সুবিধা পাবেন না। আবেদনকারীকে নিজস্ব ব্যাংক একাউন্ট ও আঁধার কার্ড থাকতে হবে। একাউন্টে আধার লিংক থাকতে হবে। লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের আর্থিক সহায়তা সরাসরি ব্যাংক একাউন্টে দেওয়া হবে। এতে যদি কারো আঁধার কার্ড বা স্বাস্থ্য সাথী কার্ড না থাকে সেও আবেদন করতে পারবে,সেক্ষেত্রে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড বা আধার কার্ড পাওয়ার ক্ষেত্রে তাঁকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হবে।

দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে বিনামূল্যে এর অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম পাওয়া যাবে।  দুয়ারে সরকারের মতোই এই ক্ষেত্রেও সরকারি আধিকারিকরা আবেদন গুলোকে যাচাই করবে। এরপর গ্রামাঞ্চলে ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসার এবং শহরাঞ্চলে সাব ডিভিশনাল অফিসাররা আবেদনপত্রগুলি পোর্টালে তুলবে এবং সেক্ষেত্রে যারা যোগ্য বলে বিবেচিত হবে তাদের নাম জেলাশাসকের কাছে পাঠাতে হবে।

নবান্ন সূত্রে খবর,যেহেতু এই প্রকল্প প্রথম করা হচ্ছে সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য প্রচুর ভিড় হবে। তাই করোনা বিধি যাতে মেনে চলা হয় সেই বিষয়েও জেলাশাসকদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *