নদীয়া নিউজ ২৪ ডিজিটাল: ফাদার্স ডে’র পাশাপাশি আজ বিশ্ব উদ্বাস্তু দিবসও(World Refugee Day)। প্রতি বছর জুন মাসের ২০ তারিখ বিশ্বজুড়ে উদ্বাস্তুদের অমানবিক অবস্থানের প্রতি আন্তর্জাতিক নেতৃবৃন্দের সচেতনতা সৃষ্টির জন্য দিবসটি পালন করা হয়।
আসলে কাদের বলা হয় উদ্বাস্তু(Refugee)?
গোটা পৃথিবীতে লক্ষ লক্ষ মানুষ আজ গৃহত্যাগী। কখনও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে, কখনও অর্থিনেতিক পরিস্থিতির দুর্বিপাকে, কখনও আবার দুই রাষ্ট্রের সশস্ত্র সংঘর্ষে মাথার ছাদ আর পায়ের তলার মাটি হারিয়েছেন । এমনকি কোথাও আবার কাজ করেছে ধর্মের ভুলভুলাইয়াও। এই সমস্ত কারনে যারা গৃহত্যাগী ,তাদেরকেই মূলত বলা হয় উদ্বাস্তু(Refugee)।
কবে সূচনা হয়েছিল উদ্বাস্তু দিবসের(Refugee Day)?
২০০০ সালের ৪ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০০১ সালে থেকে দিবসটি পালিত হচ্ছে। তার আগে ২০০০ সাল পর্যন্ত আফ্রিকান শরণার্থী দিবস নামে বিভিন্ন দেশে দিবসটি পালিত হয়ে আসছিল।
বিশ্বজুড়ে ঠিক কত সংখ্যক উদ্বাস্তু(Refugee) রয়েছে ?
রাষ্ট্রসংঘের রিফিউজি এজেন্সি UNHCR জানাচ্ছে, সারা বিশ্বে ৮২.৪ মিলিয়ন মানুষ বলপূর্বক উদ্বাস্তু হতে বাধ্য হয়েছে। ২০২০ সালের শেষে ইন্টারনাল ডিসপ্লেসমেন্ট মনিটরিং সেন্টার বা IDMC-এর তথ্য জানাচ্ছে, ৪৮.০ মিলিয়ন মানুষ রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষের ফলে গৃহত্যাগী হয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে অন্তত ৩০ মিলিয়ন শিশু রয়েছে উদ্বাস্তু তালিকায়।
ভারতে কী পরিণতি এই উদ্বাস্তুদের?
দিন যত যাচ্ছে ভারতেও বাড়ছে উদ্বাস্তুর সংখ্যা । কিছু দিন আগেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ঘোষণা করেছে, অ-মুসলিম শরণার্থী বা উদ্বাস্তুদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেবে কেন্দ্র। তেমনই পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, পাকিস্তান থেকে আসা শরণার্থীরা এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। নাগরিকত্ব আইন, ১৯৫৫ ও ২০০৯ সালে তৈরি করা আইন মোতাবেক এই শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদান করা হবে।